গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির বিজয় রূপানি ৷ সংগঠনের হয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি ৷ পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ চেয়ার ছাড়ার পরই শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই নিজের ইস্তফা নিয়ে ব্যাখ্যা দেন বছর ৬১-র এই সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও আগে থেকে কিছু না জানিয়েই কেন আচমকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়লেন, সেই নিয়ে ঝেড়ে কাশলেন না রূপাণী। বরং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েই সাংবাদিকদের সামনে তাঁর সংক্ষিপ্ত বিবৃতি শেষ করলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন বিজয় রূপাণী। মনে করা হচ্ছিল, রাজ্যের কোন সাংবিধানিক ইস্যুতেই রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেন। কিন্তু বেরিয়ে রূপাণী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করবেন বলেও জানান।
ফলে গোটা দেশের নজরই কার্যত আটকে গিয়েছিল রূপাণীর সেই সাংবাদিক বৈঠকের দিকে। কী বলেন, কী বলেন? কৌতূহলও ছিল সর্বত্র। কিন্তু সাংবাদিকদের হতাশ করেই ইস্তফা দেওয়ার পোক্ত কোনও কারণের কথা উল্লেখ করলেন না তিনি। রূপাণী বলেন, “গুজরাটের উন্নয়ন যাত্রা এ বার নতুন নেতৃত্বের অধীনে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সঙ্গে নতুন প্রাণশক্তি ও উৎসাহ থাকবে। এই কথা মাথায় রেখেই আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।”
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতৃত্বকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন রূপাণী। তাঁর কথায়, “আমার মতো দলীয় কর্মীকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মানুষের সেবা করার জন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার মুখ্যমন্ত্রিত্বের গোটা সময়টা আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ পেয়েছি। তাঁর নেতৃত্বে গুজরাটের উন্নয়ন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। এই রাজ্য এবং রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।”
Be the first to comment