কয়লাপাচার কাণ্ডে তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর আসানসোল সিবিআই আদালত। তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আপাতত লিভারের অসুখে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। ৩ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিকাশ মিশ্র। গত শনিবারও কয়লা কাণ্ডের কিংপিন লালার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় তাঁকে। কিন্তু বিকাশের মুখ দিয়ে একটিও শব্দ বার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রবিবারই রুটিন চেকআপ করতে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাশ মিশ্রকে। তিনি অসুস্থ বোধ করেন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন টেস্ট দেন। দেখা যায়, লিভারের সমস্যায় ভুগছেন বিকাশ। তারপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে নেওয়ার পর থেকে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বিকাশ। মুখ খুলছেন না জেরাতেও। গত শনিবারও কয়লা কাণ্ডের কিংপিন লালার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় তাঁকে। কিন্তু বিকাশের মুখ দিয়ে একটিও শব্দ বার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট মনিটর করবে সিবিআই।
উল্লেখ্য, তদন্তের স্বার্থে বিকাশ মিশ্রকে সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। গত শুক্রবার আসানসোলের সিবিআই আদালত এই রায় দেয়। বিহারের তিহার জেল থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে আনা হয়। তিহার থেকে ধানবাদ পর্যন্ত বিকাশকে আনা হয় ট্রেনে। সেখান থেকে সড়ক পথে বিকাশকে আনা হয় আদালতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, বিনয়ের হয়ে যাবতীয় ব্যবসা সামলাত এই বিকাশ মিশ্র। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কোথায় কোথায় টাকা যেত, আর কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা জানতে চান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির একমাস আগেই দিল্লিতেই গা ঢাকা দিয়েছিল বিকাশ। সিবিআই ও ইডির বারংবার তলব সত্ত্বেও গরহাজির ছিল সে। যদিও এখনও পর্যন্ত দেশের বাইরেই বেপাত্তা রয়েছেন বিনয়। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রেড কর্ণার নোটিস জারি করেছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে দাবি, আর্থিক লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল যুব তৃণমূল নেতার ভাইয়ের। দাদার ব্যবসার যাবতীয় হিসেব রাখতেন বিকাশ। তদন্তকারীদের অনুমান, বিনয় মিশ্র ভিন্ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। দাদার মতো বিকাশও বিদেশে পালাতে পারে, এই আশঙ্কায় বিকাশ মিশ্রর নামে লুক আউট নোটিসও জারি করে সিবিআই। অবশেষে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল বিকাশ মিশ্রকে।
Be the first to comment