শিলিগুড়ির সভায় পৌঁছলেন বিমল গুরুং, কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে সভা

Spread the love

রেল অবরোধে আটকে পড়েছিলেন। পরে সড়কপথেই সভাস্থলে পৌঁছলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্দিরা গাঁধী ময়দানের সভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। এদিকে এই সভা ঘিরে পাহাড়ের রাজনীতির পারদ চড়ছে।

রবিবার সকালে রেল অবরোধে মালদহে আটকে পড়েন গুরুং। তারপর তিনি গাড়ি নিয়েই সভাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন বলে জানান মোর্চা নেতা রোশন গিরি। এদিন সকাল থেকেই সভাস্থলে দেখা গেল বিমল-অনুগামীদের ভিড়। সকাল থেকে দার্জিলিং-সহ অন্য অঞ্চল থেকে গুরুংপন্থীদের আসতে দেখা যায়।

জানা গিয়েছে, প্রথমে বাঘাতযীন পার্কের মাঠে জনসভা করার কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে গান্ধী ময়দানে করা হয়। আজ প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর উত্তরবঙ্গে প্রকাশ্যে সভা করবেন বিমল গুরুং। সভার দায়িত্বে রয়েছেন রোশন গিরিরা। বিমলের সমর্থনে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে আস্ফালন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। ২০১৮সালে শেষবার এই ইন্দিরা ময়দানে সভা করেছিলেন বিমল গুরুং। তখন মোর্চা ছিল তাঁর নেতৃত্বে।

এবারের প্রেক্ষাপটটা একেবারেই আলাদা। এদিকে পাহাড়ে বিমলকে কেন্দ্র করে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে মোর্চা। বিনয় তামাংরা গুরুংকে ফেরাতে চান না। তাঁরা বিমল গুরুংকে দাগী আসামি বলেই মনে করেন। এদিকে গুরুং পন্থীরা পাল্টা মিটিং মিছিল শুরু করে দিয়েছেন পাহাড়ে। সমতলে সভা করে পাহাড়ের ফেরার পথ তৈরি করছেন বিমল গুরুং এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

পাহাড়ে অশান্তির পর বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেছিল মমতা সরকার। তারপরেই অন্তর্ধান হয়ে গিয়েছিলেন বিমল গুরুং। সম্প্রতি কলকাতায় এসে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন। রবিবার সভা থেকে সেই কথাই ফের শোনা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

এদিকে, সভা শুরুর আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ফের সুর চড়িয়েছেন বিমল গুরুংয়ের সহযোগী রোশন গিরি। তাঁর তোপ, পাহাড়ের দাবি নিয়ে উদাসীন বিজেপি। তিনজন সাংসদ দেওয়া সত্বেও কোনও প্রত্যাশা পূরণ করেনি। তাই মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে সমর্থনের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাল্টা উত্তর দিয়েছে বিজেপিও। দার্জিলিং বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক আনন্দময় বর্মন, বিমল গুরুং ছাড়াই উত্তরবঙ্গের সমস্ত আসন জিতেছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের কোনও মাটি নেই। বাঁচার জন্য এখন বিমল গুরুংকে ধরতে চাইছে শাসক দল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*