১৩ বছর দেশের রাষ্ট্রপতিকে পরিষেবা দেওয়ার পর অবসর নিল বিরাট ৷ ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসই ছিল তার কাজের শেষ দিন। কর্মজীবনের অন্তিম দিনেও নিষ্ঠার সঙ্গে সে নিজের কর্তব্য পালন করে গিয়েছে ৷ রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের দেহরক্ষী হিসেবে তাঁকে এসকর্ট করে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নিয়ে গিয়েছে রাজপথে, সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ৷ গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে তাকে বিদায় সম্ভাষণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয়রা।
বিরাট রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষায় নিয়োজিত ঘোড়সওয়ার বাহিনীতে সবচেয়ে সম্মানীয় ঘোড়া ৷ চলতি বছর সেনা দিবসে তাকে আর্মি স্টাফ কমেন্ডেশনের প্রধান হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে ৷ অসামান্য দক্ষতা ও ব্যতিক্রমী পরিষেবা দিয়ে এই বিরল সম্মান অর্জন করেছে সে ৷ ঘোড়া হিসেবে সে-ই প্রথম পায় কমেন্ডেশন কার্ড ৷ চার্জারের ভূমিকায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ঘোড়াগুলির মধ্যে সে প্রথম ঘোড়া যাকে এই অনন্য সম্মান দেওয়া হয় ৷
২০০৩ সালে মাত্র তিন বছর বয়সে রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী হিসেবে হেমপুরের রিমাউন্ট ট্রেইনিং স্কুল অ্যান্ড ডিপোতে আসে এই কালো ঘোড়া ৷ খুব শিগগিরই সে সবার নয়নের মণি হয়ে ওঠে ৷ তার সৌন্দর্য, চাকচিক্য ও নম্র আচরণ তাকে সবার থেকে আলাদা হিসেবে পরিচিতি এনে দেয় ৷ বহু অনুষ্ঠানে কম্যান্ডান্টস চার্জার হিসেবে রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী হিসেবে তাঁকে এসকর্ট করতে, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানকে রাষ্ট্রপতি ভবনে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা গিয়েছে ৷
রাজপথে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের কোলাহলেও চালকের ফিসফিস শুনে নির্দেশ মেনে চলার ক্ষমতা তাকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য করে তোলে ৷ তার উপচে পড়া কেশর, লম্বা লেজ, সুঠাম গঠন ও নরম দৃষ্টি দেখেই মন গলে যায় সবার ৷ পিবিজি-র তরফে ঘোষণা অনুযায়ী ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসেই অবসর নিল বিরাট ৷ এরপর সে জীবনের অন্তিমকাল পর্যন্ত থাকবে পিবিজি-এর আস্তাবলেই ৷
Be the first to comment