ফের মধ্যরাত্রে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধুন্ধুমার। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের অভিযোগ মত্ত অবস্থায় তাঁদের গায়ে হাত তুলেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। এমনকি, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতোর উপস্থিতিতে নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পড়ুয়ারা।
অশোক পাল্টা দাবি করেন, মঙ্গলবার রাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং অধ্যাপিকাদের বাড়িতে গিয়ে ইট ছুড়েছেন পড়ুয়ারা। সেই কারণে নিরাপত্তাকর্মীরা এসে মাঝরাতে অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেছেন। অধ্যাপকদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু পাথর উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি অশোকের। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ছাত্রীর দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। কেউ ইট ছোড়েনি। বরং নিরাপত্তাকর্মীরা বেড়া টপকে এসে তাঁদের মারধর করতে শুরু করেন এবং অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দেন। পাশাপাশি বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, টানা ৩০ দিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় মারামারি, ধাক্কাধাক্কি এবং তুমুল হট্টগোলে অশান্ত হয়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতন। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর বাসভবন থেকে বেরোতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের রোষের মুখে পড়তে হয়। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপত্তারক্ষাদের ডেকেছিলেন উপাচার্য। তাঁকে ঘেরাওমুক্ত করতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময়ে উপাচার্যের দিকে কয়েক জন আন্দোলনকারী চেয়ার ছুড়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল হলে যান উপাচার্য। ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও লিখিত আবেদন তাঁরা পাননি। তাই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
Be the first to comment