কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই ‘মুক্ত’ হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে উঠে গিয়েছে বিক্ষোভ। ‘মেপে মেপে’ উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতার ৫০ মিটার দূরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। তবে আদালতের নির্দেশে স্বাভাবিক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে জানিয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ স্বাভাবিক গতিতে চালবে। এর আগে বিক্ষোভের পরিস্থিতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এদিকে আদালতের নির্দেশের পরই উপাচার্যের বাসভবনের সামনের জায়গা খালি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বর্তমানে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন থেকে ৫০ মিটার দূরে নতুন অবস্থান মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনে ফেরানো সহ অধ্যাপকদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৭ অগস্ট রাত থেকে শান্তিনিকেতনে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা।
এরপরই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো শুক্রবার বোলপুরের এসডিও অয়ন নাথ ও বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ এসে উপাচার্যের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে দেয়। ভবনের দেওয়ালে লাগানো সমস্ত ব্যানার-পোস্টারও খুলে দেওয়া হয়। উপাচার্যের বাড়ির সামনে গত আটদিন ধরে যে অবস্থান মঞ্চ ছিল তা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।
Be the first to comment