কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হল বিবেক চেতনা ফুটিয়ে তোলা।
তেমনি কলকাতা পুরসভার ৬৮ নং ওয়ার্ডে ‘ভারত সেবাশ্রমের’ সামনে আজ থেকে আয়োজিত হয়েছে বিবেক স্মরণে এক অভিনব অনুষ্ঠান। এদিন সকালে প্রথমে স্বামী বিবেকানন্দর ছবিতে মাল্যদান করেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। এরপর আয়োজিত হয় নানান অনুষ্ঠান। বিকেলে শুরু হয় ক্যারেটের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি কিভাবে করা যায় তা নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান। সঙ্গে দেশভক্তি গান। এরপর যোগ ব্যায়মের মাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়।
পাশাপাশি এদিন, অনুষ্ঠিত হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় দুই বাংলা ভূমিকার উপর মুক্ত মঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠান- “দুই বাংলার সম্প্রীতি সুদৃঢ় হোক”। এই আলোচনায় এদিন অংশ নেন, বাংলাদেশ সরকারের তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবালসোভান চৌধুরী, অধ্যাপক রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা নির্বেদ রায় ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার আতাউর রহমান। এদিন এই আলোচনার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক জয়ন্ত চক্রবর্তী।
রাজা গোপাল ধর চক্রবর্তী এদিন বলেন, স্বামীজী সব সময় বলতেন নারীদের সম্মান করতে। বাংলাদেশও নারীদের সম্মান ও শিক্ষায় নানান কাজ করেছে এবং বর্তমানে করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মৈত্রীর সম্পর্ক। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সম্পর্ক অটুট। এরজন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরর ভুয়োশী প্রশংসা করেন।
এদিন নির্বেদ রায় বলেন, দুই বাংলার সম্পর্ক যতদিন যাচ্ছে ততই শক্তিশালী হচ্ছে।
এদিন ইকবালসোভান চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আজ মৈত্রীর সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। আগামীদিনে সম্পর্ক আরও অটুট হবে। তিনি আরও বলেন, ধর্ম, বর্ণ, জাতি ভুলে গিয়ে দুই বাংলা আজ মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাঁর মত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি কিরা উচিৎ নয়। রাজনীতিতে ধর্ম নিয়ে আসলে বিভাজন ঘটে।
Be the first to comment