অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনামে গ্যাস লিক হওয়ার দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। প্রথমে মোট ৩ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেলেও বর্তমানে জানা যাচ্ছে, এক শিশু সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে ২০০ জনকে। যাদের মধ্যে ৮০ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, গ্যাস লিক করেছে ২টি ৫০০০ টন ট্যাঙ্ক থেকে। মার্চ থেকে ট্যাঙ্ক দুটির কোনও দেখভাল করা হয়নি বলে অভিযোগ। এর মধ্যে লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ ছিল। তাই রাসায়নিক বিক্রিয়ার জেরে তাপ উৎপাদন বলে খবর। এরপরেই তা লিক করে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কারখানার ২.৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে গ্যাস। স্থানীয় মানুষজনের এখনও পর্যন্ত প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, রাত আড়াইটে থেকে ৩টের মধ্যে গ্যাস লিকের ঘটনাটি ঘটে। এনডিআরএফের একটি দল সকাল ৬টায় ঘটনাস্থলে পৌছয়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত রাজনাথ সিং, অমিত শাহ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার ডিজি।
ঘটনাস্থল থেকে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় কমপক্ষে একশো লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে, তারা আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করছে এবং যে কজন অসুস্থকে পারছে তাঁদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে পৌঁছে দিচ্ছে। ওই ভিডিওতে দূরে সাইরেনের শব্দও শোনা যাচ্ছে।
বেশ কিছু লোককে মাস্ক পড়া অবস্থায় অসুস্থ ব্যক্তিদের অ্যামুলেন্সের দিকেও নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ওই অসুস্থদের শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যতক্ষণ না অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে পারছেন, ততক্ষণ তাদের রাস্তার মাঝের ডিভাইডারেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে।
১৯৬১ সালে হিন্দুস্তান পলিমার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত, এই সংস্থাটি ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম অধিগ্রহণ করে ও নতুন নামকরণ করা হয় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া।
Be the first to comment