বিতর্ক ও জটিলতার মধ্যেই ৩০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি । ভারতীয় নাগরিক হওয়ার তকমা লাভের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন নি প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ । এবার নাগরিকত্ব বিতর্কে যোগ হল ভোটাধিকার বিতর্ক ।
এনআরসি খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর রেজিস্ট্রার জেনারেল শৈলেশ জানিয়েছিলেন ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন অন্য এক সংস্থা পরিচালনা করে, তাই তালিকায় যাদের নাম নেই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কিনা এবিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি । এরপরই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত জানিয়েছেন কেবলমাত্র ভারতের নাগরিকদেরই ভোটাধিকার আছে সুতরাং তালিকায় যাঁদের নাম নেই তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না । এবিষয়ে অসমের মুখ্য নির্বাচন অধিকর্তার কাছে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন । ৭-১০ দিনের মধ্যে পেশ করা হবে ওই রিপোর্ট ।
এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসকদলকে বিঁধেছেন বিরোধীরা । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ চালানোর অভিযোগও এনেছেন । দেশের লোক হয়েও তাঁরা রিফিউজি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি । কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিও এই শোচনীয় অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন বিজেপিকেই । এনআরসি নিয়ে বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। কারণ যারা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন, বাংলাদেশও তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার দেবে কিনা সেই বিষয়েও নেই কোনও নিশ্চয়তা। সমস্যার সমাধান কীভাবে নেই কোনও উত্তর ।
Be the first to comment