আর্যতীর্থ:
ভুখা মানুষ, বই ধরো , ওটা হাতিয়ার!
কবে যে কে দিয়েছিলো স্বর্নালী ডাক,
পরে নেতা বুঝেছেন আসল ব্যাপার
কথা আর কাজে তাই প্রবল ফারাক।
শব্দেরা অক্ষরে উঠে আসে যদি,
যুক্তি বুদ্ধি তবে খাঁচা ভেঙে ওড়ে,
ভাবনারা হয়ে যায় প্রথা ভাঙা নদী,
ভোটভিখারির তাতে বড় ভয় করে।
বই মানে খুলে দেওয়া মনের দরজা
বই মানে মনময় আলোর জোনাকি
নিশানের রং আর ধর্মতরজা,
বই মানে ধরে ফেলা সেসবের ফাঁকি।
ভুখা পেটে তাই দাও ধর্মভুজুং
সুদিনের আশা দাও( সত্যি দিও না)
কোটা দিয়ে মুড়ে বলো এতেই বাঁচুন,
ভুলেও বইয়ের নাম মুখে নিও না।
খিদে দিয়ে ভোট কেনা বড়ই সুবিধা
বই পেলে সেই খিদে খোঁজে অধিকার,
নেতাদের মেনে নিতে মনে জাগে দ্বিধা
উচিত কি হাতে দেওয়া সেই হাতিয়ার?
বইমেলা দুইবেলা লোকে ভিড় করে
কজন আর তার মাঝে সত্যিই ভুখা ?
আজও বই ঢোকেইনি খিদের ভেতরে
নেতাদের করুণায় ভুখামন ফাঁকা।
Be the first to comment