
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- লোকসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চর্চার পর ভোটাভুটি হল। বিলের পক্ষে পড়ল ২৮৮টি ভোট। বিপক্ষে পড়ল ২৩২টি ভোট। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় নিল পেশ হতে পারে।
ভোটাভুটি শুরুর আগে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে প্রতিবাদে সরব হন এআইএমআইএমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। লোকসভায় বিল নিয়ে চর্চায় অংশ নেন তিনি। নিজের বক্তব্যের একেবারে শেষ দিকে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন হায়দরাবাদের সাংসদ। তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের আনা আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সেটির প্রতিলিপি ছিঁড়ে প্রতিবাদে সরব হন গান্ধিজী। ঠিক একইভাবে তিনি লোকসভায় বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ওয়াকফ সংশোধনী বিল অসাংবিধানিক। বিজেপি মন্দির-মসজিদের নাম করে দেশে বিভাজনের রাজনীতি করতে চায়। আমি এর বিরোধিতা করি।”
অন্যদিকে, সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিও। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “বিজেপি-আরএসএসের কাছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল একটি অস্ত্র। এই অস্ত্র ব্যবহার করে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে তাদের সম্পত্তির উপর। এটা সংবিধানের উপর সরাসরি আঘাত। পাশাপাশি এর থেকে অন্য সম্প্রদায়ের বুঝে নেওয়া উচিত আগামিদিনে তাদের সঙ্গে কী কী হতে পারে।”
এর আগে বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। দিনভর চর্চার শেষে রিজিজু বলেন, “যারা বুঝতে চায় না তাদের বোঝানো যায় না। বিরোধী সাংসদরা বারবার বলছেন, এই বিল অসাংবিধানিক। তবে কেউ সেটা প্রমাণ করতে পারেননি। আমি মনে করি, অসাংবিধানিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।”
Be the first to comment