পুরসভার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কলকাতার আনাচ-কানাচ। এবার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের পতাকা খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এমনকি কংগ্রেসের পতাকা লাগালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গলফগ্রিন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বুধবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৯৪ নম্বর ওয়ার্ড। কংগ্রেস কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, পতাকা খুলে নেওয়া হয়। তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরাই পতাকা খুলে নেয় বলে অভিযোগ। প্রতিরোধ করলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের। এলাকায় কোনও কংগ্রেসের পতাকা লাগালে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল নস্কর। স্থানীয়রাও চলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় গলফ গ্রীন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস প্রাথী রাহুল নস্কর। তৃণমূলের কর্মীরা পতাকা লাগাতে বিরোধিতা করেন বলে রাহুলের অভিযোগ। এমনকি, পুলিশের কাছে অভিযোগে প্রাণনাশের হুমকির কথাও বলেছেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডটির উত্তরে বিডন স্ট্রিট, পূর্বে বিধান সরণি, দক্ষিণে বিবেকানন্দ রোড এবং নন্দা মল্লিক লেন বর্ডার এবং পশ্চিমে রবীন্দ্র সরণি এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ।
ওয়ার্ডটি কলকাতা পুলিশের গিরিশ পার্ক, জোড়াসাঁকো এবং বুরতোল্লা থানার আওতাধীন।২০০৫ সালে এই ওয়ার্ডটি ছিল বামেদের দখলে। তত্কালীন সময়ে অরূপ অধিকারী ছিলেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০১০ সালে রাজ্যের পালাবদলের রঙ লাগে এই ওয়ার্ডেও। বামেদের হাত থেকে ওয়ার্ডটি কেড়ে নেয় তৃণমূল। ২০১০ সালে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন শশী পাঁজা। ২০১৫ সালের নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে তৃণমূল। তবে কাউন্সিলর বদল হয়। বিপুল ভোটে জিতে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন রবীন চট্টোপাধ্যায়। ২০২১ পুর নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী শশী গোন্দ, বামেদের তরফে লড়ছেন তাপস প্রামাণিক।
এবার নির্বাচন খানিকটা আলাদা। তৃণমূলের যুযুধান প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। শেষ কয়েক বছরে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক কাঠামো অনেকটাই মজবুত করেছে পদ্ম শিবির। তবে সে অর্থে একুশের নির্বাচনে বিশেষ কোনও ‘খেল’ দেখাতে না পারলেও, পুর নির্বাচনে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ছে বিজেপি। সে কথা আগেই সোজাসুজি বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
Be the first to comment