শহরে ফের পানীয় জলে সংক্রমনের আশঙ্কা। সোমবারের পর ফের আরও এক মৃত্যু ঘটে গেল সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবারই ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল খেয়ে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। মঙ্গলবার মৃত্যু হল এক পাঁচ বছরের শিশুর।
জানা গিয়েছে, আয়ুষী কুমারী নামের ওই শিশু গত কয়েকদিন অসুস্থ ছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডায়েরিয়ার চিকিৎসা করা হয়। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। ডায়েরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল। তবে জলে বিষক্রিয়া থেকেই অসুস্থতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদিও আয়ুষীর পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, দূষিত জল খেয়েই অসুস্থতার ঘটনা ঘটছে এলাকায়। এরপরেই আতঙ্ক বেড়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে আরও বেশ কয়েকজন শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ হয়েছেন ওই একই এলাকায়।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যে ওয়ার্ডে সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েক দিন ধরেই ডায়ারিয়ায় অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অথচ রবিবার সকাল পর্যন্ত সেই খবরই ছিল না কলকাতা পুরসভার কাছে। স্বীকার করেছেন খোদ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
অভিযোগ, শিবরাত্রির দিন থেকেই জলে ঘোলাটে ভাব দেখেন বাসিন্দারা। কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জল পান করেই এলাকার একাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
অন্যদিকে, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেই আলিপুর মহিলা জেলে এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয় সোমবার। সূত্রের খবর, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সম্প্রতি মাদককাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। জেলের আরও ৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পানীয় জলে দূষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানীয় জলের পাইপ লিক করে তার সঙ্গে মিশে গেছে নর্দমার জল।
আলিপুর মহিলা জেলে মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু ডায়েরিয়ায় হয়েছে, ডেথ সার্টিফিকেটে সেরকম উল্লেখ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
Be the first to comment