‘কোনও রকম অশান্তি, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না মানে হবে না’, ওয়াকফ অশান্তির মধ্যেই কড়া বার্তা রাজীব কুমারের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক: ‘কোনও রকম অশান্তি, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না মানে হবে না।’ শনিবার কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। পাশাপাশি রাজ্যের মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানান ডিজি।
ধুলিয়ান, মুর্শিদাবাদ এবং সুতিতে ওয়াকফ বিলের বিরোধ আইনশৃঙ্খলের অবনতি হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম ভবানী ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “কেউ গুজব ছড়াবেন না। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় রেট চালিয়ে মোট ১২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও অনেক জনকে গ্রেফতার করা হবে।” এডিজি আইনশৃঙ্খলা আশ্বস্ত করেছেন, আইনের শাসন চালু করা হবে।
ওয়াকফ ইস্যুতে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আমরা ন্যূনতম বাহিনী ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি ৷ কিন্তু, অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হব৷ সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ, পুলিশকে সহযোগিতা করুন ৷”
এর পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন, “কোনও গুজবে কান দেবেন না। গুজব ছড়াবেন না। কোনও রকম গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। কোনও রকম অশান্তি, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না মানে হবে না’। যারা গুন্ডামি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুর্শিদাবাদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষকে বাস্তবটা বুঝতে হবে। লড়াইটা ভালো এবং মন্দের মধ্যে। আমরা মানুষের সহযোগিতা চাই। মানুষের জীবন রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না।”
মুর্শিদাবাদে অশান্তির প্রসঙ্গে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, “পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে। পাল্টা পুলিশও চার রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের ছোড়া গুলিতে দুজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জখম দু’জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তারা এখন বিপদমুক্ত। শনিবার সকালে আবার একটা গুলি চলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কে গুলি চালিয়েছে বা তাতে কেউ জখম হয়েছেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। ধুলিয়ানের পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এই অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জন পুলিশ জখম হয়েছে, ১২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*