
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ‘আমি একটু ফুটবল ভালবাসি, আমাদের সবাইকে এবার নেমে খেলতে হবে, যাতে এই দুর্নীতিবাজকে টেনে ১৪ তলা থেকে নিচে নামাতে পারি’, এভাবেই আক্রমণাত্মক মেজাজে সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে আসা জনতাকে বার্তা দিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। সেলিম বলেন, ‘যারা দূরবীন দিয়ে লাল ঝান্ডা দেখতে পাচ্ছিল না, তাদের বুকে কাঁপন ধরাবে এই ব্রিগেড।’ সেলিমের অভিযোগ, ‘কাজের জায়গা ছোট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র, রাজ্যে কোথাও নিয়োগ হচ্ছে না। যেখানে নিয়োগ হচ্ছে, সেখানে দুর্নীতির পাহাড়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের চাকরি গিয়েছে।
সেলিমের ভাষণে গুরুত্ব পায় মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গ। সেলিম বলেন, ‘গরিবের লড়াই গরিবকেই লড়তে হবে, কোনও লাট-বেলাট এই লড়াই লড়তে পারবে না, মুর্শিদাবাদে যাঁরা খুন হলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।’ মুর্শিদাবাদ হিংসার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সেলিম বলেন, ‘হিন্দু মুসলিম সবাইকে এক সঙ্গে লড়তে হবে। আমরা মুর্শিদাবাদকে বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু নিধনের জায়গা হতে দিতে পারি না।’ রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রকেও বিঁধেন সেলিম। তিনি জানান, সরকার এখন ট্রেন না চালিয়ে মন্দির মসজিদ চালাচ্ছে। তৃণমূল বিজেপির স্ক্রিপ্টের লেখক একজনই তিনি হলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
মূলত শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর এবং বস্তি এই চারটি গণসংগঠনের ডাকে রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএম। রোদের কথা মাথায় রেখে এদিন বিকেল ৩ টে নাগাদ সভা শুরু হয়। একে একে বক্তব্য রাখেন কৃষক সভার তরফে অমল হালদার, ক্ষেতমজুর সংগঠনের তরফে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহু ও সর্বশেষ সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তবে জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বক্তার তালিকায় নেই বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
Be the first to comment