পৌষের শেষে শীতের দাপট কম হবে দক্ষিণবঙ্গে। পিঠে পুলির প্রথম দিনেই এমন পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। সৌজন্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তবে এই ঝঞ্ঝা আগের তিন বারের মতো বৃষ্টির ঝঞ্ঝাট নিয়ে আসবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। কিন্তু তাপমাত্রার বাড়বে কলকাতাসহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়বে। এর জেরে বেলা বাড়ার সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে।
সোমবারেও পারদ নেমে গিয়েছিল ১১তে। আজ মঙ্গলবার কলকাতায় শীতের দাপট থাকলেও ঝঞ্ঝার জেরে তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পশ্চিমাঞ্চলের তুলনায় কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে শীতের অনুভূতি ছিল অনেকটাই বেশি। সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এটিও স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম ছিল। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার তা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বেড়েছে। সোমবার শহরের তাপমাত্রা ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৩ শতাংশ। আগামী কয়েকদিনে এই আর্দ্রতাই প্রধান অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জেলাগুলির পারদ আজ ১০ থেকে বেড়ে ১২-র কাছাকাছি চলে আসবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
বুধবার থেকে সর্বত্রই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। বুধবার সকালেও জব্বর ঠান্ডা থাকলেও, কলকাতার তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী চার-পাঁচ দিন শীতের দাপট একদমই কমে যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের গোড়া পর্যন্ত কলকাতা ও তাঁর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ২৯-৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত।
শীতের দাপট কমবে পারে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও। সেখানে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮ থেকে সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রির ঘরে থাকতে পারে। এটা পুরোটাই ঘটবে পর পর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দেওয়ার কারণে। এই মুহূর্তে উত্তর ভারতে একটি ঝঞ্ঝা হানা দিয়েছে। এটা কাটার পর পরেই দু’ দিনের মধ্যে আরও একটা ঝঞ্ঝা আসছে। এই ঝঞ্ঝাগুলির ফলে উত্তর ভারতে আরও এক বার প্রবল তুষারপাত হবে। কাজেই শীত প্রেমীদের একেবারে ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই। এই ঝঞ্ঝা সরলে আবারও ফিরতে পারে শীতের দাপট।
Be the first to comment