শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে আমফান । কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর জেরে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হবে । আজ সন্ধের মধ্যেই এটি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে । গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি । মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে হবে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি ।
IMD-র রিজিওনাল ডিরেক্টর জি কে দাস বলেন, “আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । তারপর উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এগোতে থাকবে । যার জেরে আগামী দুই থেকে তিন দিন দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে ।”
গতকাল নিম্নচাপটি দিঘা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল । আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । ২৪ ঘণ্টা পর তা শক্তি বাড়িয়ে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে । পরে তা প্রথমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে । এরপর অভিমুখ পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে এগোতে থাকবে । অতি সক্রিয় ও শক্তিশালী হয়ে এরপর তা ওড়িশা উপকূল ও বঙ্গোপসাগর উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে ৷
আমফানের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে উপকূলের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকবে । আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টি চলবে ৷ বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । বুধবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির দাপট আরও বৃদ্ধি পাবে এই জেলাগুলিতে । অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে ৷ মঙ্গলবার ঝড়ের সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । ২০ তারিখ ঝোড়ো হাওয়ার দাপট বৃদ্ধি পাবে । হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা ।
Be the first to comment