রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা। জন প্রতিনিধিরা খুন হচ্ছেন। বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এরই মধ্যে আবার রাজ্যে ১২ এপ্রিল উপনির্বাচন রয়েছে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে উপনির্বাচন। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে ১২ এপ্রিল। বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচনে অন্তত ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বলে নির্বাচন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন পুরভোট পরিচালনা করেছিল, তখন রাজ্যের একাধিক প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। এর পাশাপাশি, যেভাবে কোথাও সিসিটিভি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল, কোথাও প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই সব বিষয়ের উপরই নজর রেখেছিল কমিশন। সূত্রের খবর, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছে যেমনভাবে গত বিধানসভা নির্বাচনে যত কোম্পানি বাহিনী এসেছিল বাংলায়, সেই মতো করে একটি আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের হিসেবে অন্তত ১৭ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চাইছেন কমিশনের কর্তারা। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে সব মিলিয়ে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে।
রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসন পূরণ করতে বালিগঞ্জে উপনির্বাচন। তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ে প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর তাঁর ছেড়ে আসা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও একইদিনে উপনির্বাচন। ১৬ তারিখ দুই কেন্দ্রের ফলপ্রকাশ।
Be the first to comment