
রোজদিন ডেস্ক: কড়া হাতে হিংসার রোখার বার্তা দিয়েছিলেন সকালেই। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদ পৌঁছে গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মুর্শিদাবাদ গিয়েছেন রাজীব কুমার।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, রাতে পৌঁছেই জেলা সদর বহরমপুরে পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন তিনি। এছাড়াও, হিংসা উপদ্রুত এলাকাগুলিতেও যেতে পারেন তিনি। ঘুরে দেখতে পারেন সামশেরগঞ্জ, সুতি প্রভৃতি জায়গার পরিস্থিতি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পৌঁছন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, অল্প সময়ের জন্য তিনি বৈঠক করেছেন মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব ও জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে। এর পর সেখান থেকে পৌনে ৮টা মিনিট নাগাদ তিনি জঙ্গিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। প্রায় একই সময়ে জঙ্গিপুরের উদ্দেশে রওনা দেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দুই শীর্ষ কর্তা। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, রাত ৯টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের বৈঠক রয়েছে। কী ভাবে আধাসেনা মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তার রণকৌশল ঠিক হবে ওই বৈঠকে।
এছাড়াও ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে কে বা কারা জেলাজুড়ে এভাবে অশান্তির আগুন ছড়াল, সেই চক্রীদের খুঁজে বের করাই হবে রাজ্য পুলিশের ডিজির প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, তিনি আক্রান্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁদের কথা শোনার পাশাপাশি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করা, তাঁদের বোঝানো যে পুলিশ প্রশাসন তাঁদের সকলেরই পাশে রয়েছে, সেই বার্তাও এলাকাবাসীকে সরাসরি দেওয়ার চেষ্টা করবেন রাজীব কুমার। এককথায় এলাকায় শান্তি ফেরাতে যা যা করা দরকার, সেসবই করবে তিনি।
এদিকে, শুক্রবারই মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিংসা বাগে আনতে বিএসএফ-এর সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তৎক্ষণাৎ অ্যাকশনে নেমেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। শনিবারও জেলার নানা প্রান্তে বিএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন থাকতে, রুটমার্চ করতে দেখা গিয়েছে। প্রচুর পরিমাণে পুলিশও নিরাপত্তায় নিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে কলকাতা হাইকোর্ট মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ ও অনুমতি দিয়েছে।
Be the first to comment