মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি বড় অংশের মানুষ বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও ইটভাটা বা নির্মাণ শ্রমিকের সংখ্যাও অনেক। অসংগঠিত শ্রমিকদের জীবনে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করলেও যা আয় হত, তা দিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতে ভয় পেতেন অসংগঠিত শ্রমিকরা। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বা মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাতে সক্ষম ছিলেন না তাঁরা। অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের আওতায় এনেছে রাজ্য সরকার। বহরমপুরে রবীন্দ্র সদনে একটি ক্যাম্প করে শ্রমিকদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, জেলাশাসক পি উলগানাথন-সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মুর্শিদাবাদের ৩৪০৪ অসংগঠিত শ্রমিককে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে শ্রমিকরা তিন কোটি বারো লক্ষ টাকা সাহায্য পেয়েছেন। সন্তানদের পড়াশোনা, মেয়ের বিয়ে, চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ বা পেনশন। সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে সমস্ত খরচই পাচ্ছেন অসংগঠিত শ্রমিকরা।
মুর্শিদাবাদের ৩,৪০৪ অসংগঠিত শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে সাহায্য করা হচ্ছে। ৩ কোটি ১২ লক্ষ টাকা সাহায্য দেবে সরকার। মুর্শিদাবাদের সাড়ে ৭ লক্ষ অসংগঠিত শ্রমিক প্রকল্পের আওতায় পড়ে। মেয়ের বিয়ে, সন্তানদের পড়াশোনা, চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ বা পেনশনের খরচ প্রকল্পের আওতায় থাকা শ্রমিকরা এই সুবিধা পাবেন।
সরকারি সাহায্যে অভাব ঘুচেছে অসংগঠিত শ্রমিকদের। খুশি শ্রমিকরাও। মুর্শিদাবাদে সমস্ত স্তরে অন্তত ১৫ লক্ষ শ্রমিক আছেন। প্রত্যেককেই এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে তৎপর প্রশাসন। জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দিয়ে শ্রমিকদের নতুন করে বাঁচার রাস্তা খুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
Be the first to comment