রোজদিন ডেস্ক :-
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২ দিনের সফরে শিলিগুড়ি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অর্থাৎ রবিবার দুপুরে তিনি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা রওয়ানা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার বুকে বন্যার জন্য কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। সেই সুর ধরে রেখে এদিন সন্ধ্যাবেলায় তিনি শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও একবার কেন্দ্রের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। সেই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে বার্তা দেন যে, রাজ্যে যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, রাজ্য সরকার সবসময় তাঁদের পাশে আছে। পাশাপাশি তিনি প্রশাসনের আধিকারিকদের বার্তা দেন, যাতে তাঁরাও মানুষের এই বিপদের দিনে তাঁদের পাশে থাকেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি মালদার ভুতনিচরে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকেও বাংলা শস্য বিমা যোজনার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা জানিয়েছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের জন্য বাংলায় বন্যা হয়। সব জলাধার ওদের হাতে। কিন্তু সেই সব জলাধার ওরা ড্রেজিং করে না। ডিভিসি’র জলাধারগুলো ড্রেজিং করলে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হতো না। ফরাক্কাতেও ড্রেজিং করায় না। তার জন্য বাংলা একা নয়, বিহারও ডোবে। কোশী থেকে ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। সেই জল বিহার হয়ে বাংলায় আসছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মালদা আর মুর্শিদাবাদের অনেকগুলো এলাকায় জল ঢুকে পড়বে। আমি সবাইকে এটাই জানাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব সময়ে মানুষের পাশে আছে। প্রশাসনকেও মানুষের পাশে থাকতে হবে। পুজোতেও বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টাকা দেয় না কেন্দ্র। ফরাক্কা ব্যারেজও ড্রেজিং করা হয় না। করা হলে আরও কিছুটা জল ধরে রাখা যেত।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের পরে বন্যা দুর্গতদের হাতে চেক তুলে দেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ভূতনিতে নৌকা ডুবিতে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা শস্য বিমা পাবেন। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সব থেকে বড় ঘোষণা ছিল শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো। তিনি এদিন জানিয়ে দেন, বিধান মার্কেটে আগুনে অল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দোকানগুলির মালিকদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলির মালিকদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
Be the first to comment