গণপিটুনিতে মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও ৪। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কাঠগড়ায় সেই হোয়াটসঅ্যাপ। এত সতর্কতা, এত প্রচার, সবই কি ব্যর্থ? ছেলেধরা গুজবে গুগলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুতে, ঘুরে ফিরে উঠছে সেই একই প্রশ্ন। গণপিটুনি ঠেকাতে বার বার রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। সতর্ক করেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ঘটনাটি কর্নাটকের বিদারের। নিহত ইঞ্জিনিয়ারের নাম মহম্মদ আজম, হায়দরাবাদের বাসিন্দা। পেশায় গুগলের ইঞ্জিনিয়ার। ৪ বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন আজম। যাদের মধ্যে একজন আবার কাতারের নাগরিকও। নাম মহম্মদ সালাম।
পুলিশও জানিয়েছে সূত্রে জানা গেছে, গাড়িতে করে মহম্মদ সালাম, আজম-সহ পাঁচ বন্ধু লং ড্রাইভে বেড়িয়েছিলেন। কর্নাটকের বিদারে পৌঁছে পর তাঁরা রাস্তার পাশে গাড়িটা দাঁড় করান তাঁরা। ছোট ছেলেমেয়েদের দেখে চকোলেট বিলি করতে শুরু করেন। ছেলেধরা গুজব নিয়ে আগেই চাপা অসন্তোষ ছিল এলকায়। তার উপর সঙ্গে বিদেশী নিয়ে এভাবে চকোলেট বিলি করতে দেখে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। দুইয়ে দুইয়ে চারা মেলাতে অসুবিধা হয়নি জনতার। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চটজলদি বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আশপাশ থেকে প্রচুর লোক জমায়েত হতে শুরু করেন। উত্তেজিত জনতাকে কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টাও করেন তাঁরা। পরিস্থিতি অন্যদিক মোড় নিচ্ছে বুঝতে পেরে গাড়িতে করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রামবাসীরাও মোটরবাইকে পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে তাঁদের। গাড়ি থেকে টেনে বার করে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আজমের। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
Be the first to comment