কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিস। ধৃত যুবকের নাম গণেশ মুখী। ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় গণেশ মুখীর বাড়ি । গণেশের স্ত্রী সরস্বতী পালের অভিযোগ , দীর্ঘদিন ধরেই ওই যুবক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। এমনকি মেরে ফেলারও চেষ্টা করে গণেশ,। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ঘোড়াধরা পার্ক এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে গণেশের সঙ্গে জামবনী ব্লকের মুড়াকাটা এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী পালের বিয়ে হয়। সেই সময় গণেশ শ্বশুর বাড়ি থেকে নগদ ৫০হাজার টাকা, ৫ভরি সোনার গয়না ও বিভিন্ন আসবাব পত্র নেন। তবে বিয়ের পর থেকেই গণেশ আরও টাকা ও জিনিস চাইতে শুরু করে। না দিতে পারায় শুরু হয় মারধর। এরপর ২০১৭ সালে তাদের পুত্র সন্তান হয়। পরে শ্বশুর বাড়ি সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের কাছ থেকে গণেশ একটি চার চাকা গাড়ি নেয়। তবে ২০২১ সালে তাদের কন্যা সন্তান হওয়ার পর অত্যাচারের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। শেষমেষ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সরস্বতী বাপের বাড়ি চলে যায়। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ফের মারধর করে গণেশ। এরপর পরের দিন অর্থাৎ ১৮তারিখ গণেশের নামে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সরস্বতী। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারি আইনজীবী অনিল মণ্ডল বলেন, “বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টায় গণেশ মুখী নামে এক ব্যক্তিকে ঝাড়গ্রাম মহিলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ৪৯৮a এবং ৩০৭ ধারায় মামলার রুজু করে আদালতে পেশ করলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন”।
Be the first to comment