
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘বিশ্বশান্তি’র প্রার্থনা করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বললেন, “আমাদের সংস্কৃতি সৃজন করা পরম দায়িত্ব।” কলকাতায় সায়েন্স সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছেন তিনি। সেই সফরের ফাঁকেই মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য ব্যক্তিগত সফরে সস্ত্রীক তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে গেলেন উপরাষ্ট্রপতি।
শুক্রবার স্ত্রী সুদেশ ধনখড়কে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এদিন কলকাতার সায়েন্স সিটির মূল প্রেক্ষাগৃহে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। তার আগে দিল্লি থেকে সরাসরি পানাগড়ে নামে তাঁর বিমান। সেখান থেকে বায়ুসেনার কপ্টারে করে প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সুঁড়িচুয়াতে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। তারপর সড়ক পথে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরে পৌঁছান ধনখড়। এটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সফর।
উপরাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিংয়ের নেতৃত্বে মন্দির চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলে পুলিশ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই মাত্র ১৫ মিনিট ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। পুজো দিয়ে মন্দির থেকে বেরনোর সময় তিনি বলেন, “আমরা দুজনেই অভিভূত। একটি অনন্য অনুভূতি প্রাপ্ত হল। দেশের কল্যাণ প্রার্থনা করেছি। সবাইকে শুভকামনা। আমাদের ধর্মীয় স্থান প্রেরণার স্রোত। আমাদের সংস্কৃতি বহন করা, সৃজন করা আমাদের দায়িত্ব। আমি চাই বিশ্বশান্তি।”
সূত্রের খবর, ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ফল-মূল, মিষ্টান্ন ও বস্ত্র দিয়ে পুজো দেন। গর্ভগৃহে ৫ থেকে ৭ মিনিট ছিলেন তিনি।
এরপর এদিন তারাপীঠ থেকে ফের ঝাড়খণ্ডের সুঁড়িচুয়া সেনাছাউনি থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে পানাগড়ের উদ্দেশে রওনা দেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে চড়ে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি তিনি বিশ্বভারতীর প্রধান বা রেক্টর পদেও ছিলেন। সেই সুবাদে এর আগেও বেশ কয়েকবার বীরভূম সফরে এসেছেন। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর বীরভূম সফর ও তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়া।
Be the first to comment