প্রথম দুই দফার তুলনায় কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউনে। নিষেধাজ্ঞার বজ্রআঁটুনি কমেছে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে। তবে জোন ভেদে প্রাথমিক নিয়ম মেনে চলার শর্ত রাখা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। শনিবার মোদী সরকার জানিয়ে দিয়েছে রেড জোনে কোনও মদের দোকান খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হলেও প্রচুর বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেখানে।
এর মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ড অ্যালোন শপ অর্থাৎ কোনও শপিং কম্পপ্লেক্স বা শপিং মলে মদের দোকান খোলা রাখা যাবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, মদের দোকান খুললেও মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। কিন্তু সোমবার দেশের কোথাও সেই ছবি দেখা গেল না। দোকান খুলতেই একজোট হয়ে ক্রেতারা মদ কিনতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে সাতটার সময়েই দেখা যায় মানুষ একজোট হয়ে অপেক্ষা করছেন।
নয়াদিল্লির প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই ছিল এই ছবি। দিল্লির ১৫০টি মদের দোকান এদিন খুলে দেওয়া হয়। এর প্রত্যেকটির বাইরেই দেখা গেল লম্বা লাইন। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তেও মদের দোকানের সামনে লকডাউনের নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠল ক্রেতাদের বিরুদ্ধে। দোকান খোলার আগে থেকেই জমায়েত শুরু হয়ে যায়। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনও ছবি দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য গত ২৪ শে মার্চ থেকে মদের দোকানগুলি বন্ধ ছিল লকডাউনের কারণে। এদিকে, সোমবার মদের দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে ভীড় বাড়তে থাকে, জমায়েত করা ক্রেতাদের জোর করে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। দিল্লির একটি মদের দোকানকে বন্ধ করে দিতে হয়। মালব্য নগরের একটি মদের দোকানে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই কেনা বেচা চলছে, তার ভিডিও ট্যুইট করেন দিল্লির আম জনতা পার্টির বিধায়ক সোমনাথ ভারতী।
দিল্লির দেশবন্ধু গুপ্ত রোডের ওপর মদের দোকানের বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন পড়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাথেই মদের দোকান খোলা নিয়ে বেশ কিছু নিয়ম জারি করেছিল রাজ্য সরকারগুলি। বলা হয়েছিল শুধুমাত্র স্ট্যান্ডঅ্যালোন শপগুলি খোলা হবে। শপিং মল বা শপিং কম্পপ্লেক্সের মদের দোকানগুলি নয়। সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মদের দোকান বলে খবর মিলেছিল। অন্যদিকে প্রায় একই সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি সরকারও।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার জানায়, যে যে এলাকায় বাধা নিষেধ বিশেষ ভাবে আরোপিত হয়নি, সেখানে মদের দোকান খোলা যেতে পারে। তবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মদ বিক্রি করতে হবে। এই বিষয়ে নজরদারি রাখতে বলা হয় পুলিশ প্রশাসনকে। চৌঠা মে থেকে মদের দোকান খুলে দেওয়া হয় হিমাচল প্রদেশেও।
তবে কিছু নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখে এই দোকান খোলা হয়। জানানো হয়েছিল একটি দোকানে পাঁচ জনের বেশি ক্রেতা দাঁড়াতে পারবেন না। প্রত্যেকের মধ্যে ছয় ফুটের দূরত্ব রাখতে হবে। বিক্রি করা যাবে পান, গুটখা ও তামাকজাত দ্রব্য। তবে কোনও বাজারের মধ্যে বা শপিং কমপ্লেক্সে এই দোকানের অবস্থান হলে, তা খোলা যাবে না।
Be the first to comment