প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চেয়েছিলেন সংসদের দু’টো কক্ষেই গঠনমূলক আলোচনা। কিন্তু, সর্বদলীয় বৈঠকেই পাওয়া গিয়েছিল অন্য ইঙ্গিত। বোঝা গিয়েছিলো এবারের অধিবেশনও খুব একটা মসৃণ হবে না। আর অধিবেশনের প্রথম দিনেই তা স্পষ্ট হয়ে গেলো। ফারুক আবদুল্লা কোথায়? এই প্রশ্নে একযোগে সরব হলো বিরোধীরা।
সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অধ্যক্ষের উদ্দেশে বলেন, “স্যার ফারুক আবদুল্লা এখানে নেই।” তা শুনে অধ্যক্ষ বলেন, “প্রথমে নতুন সাংসদদের শপথ নিতে দিন।” কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। সৌগত রায়ের প্রশ্নের রেশ টেনে কংগ্রেস, ন্যাশনাল কংগ্রেস ও DMK সাংসদরা স্লোগান তুলতে থাকে। স্লোগান তোলেন, “বিরোধীদের উপর হামলা বন্ধ করো, ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দাও”। ওয়েলেও নেমে আসেন তাঁরা।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি বলেন, “১৮০ দিন হয়ে গেল ফারুক আবদুল্লাকে আটক করা হয়েছে। আমরা তাঁকে সংসদে দেখতে চাই। এটা তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।” পরিস্থিতি সামলাতে উদ্যোগী হন অধ্যক্ষ। বলেন, “আমি সব ইস্যুতেই আলোচনা করতে রাজি। আপনারা আসনে গিয়ে বসুন। এই হাউজ স্লোগান দেওয়ার জন্য নয়, আলোচনা ও বিতর্কের জন্য। এরই মাঝে ফারুক আবদুল্লার মুক্তির দাবিতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে তৃণমূল।
ফারুক আবদুল্লাকে আটক করে রাখা ও কাশ্মীর নিয়ে যে সংসদ উত্তাল হবে তা বোঝা গিয়েছিল রবিবারই। সর্বদলীয় বৈঠকের পরই একাধিক ইস্যু নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি। একই সুর শোনা গিয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স সাংসদদের গলাতেও। এরই মাঝে পি চিদম্বরমও যাতে সংসদে যোগ দিতে পারেন সেই দাবিও তোলেন কংগ্রেস সাংসদরা।
Be the first to comment