ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছে রাজধানী। শীতের দিল্লি এখন টেক্কা দিচ্ছে হিমালয়ের পাহাড়ি শহরগুলিকে। বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানী শহরের একাধিক জায়গার তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছিল, যা আদতে শৈত্যপ্রবাহের লক্ষণ বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।
তবে তাপমাত্রার পারদ নামলেও বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা।বৃহস্পতিবার সকালে দেশের রাজধানীর বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ৫,২৪৭ মেগাওয়াটে। যা গত দু’টি শীতের মরসুমে কখনও দেখা যায়নি।দিল্লির বিদ্যুৎ দফতরের ‘স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার’ জানাচ্ছে, বুধবার সকালেও সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ৫,০০০ মেগাওয়াটের সীমারেখা অতিক্রম করে গিয়েছিল। ২০২২ সালে দিল্লিতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা ছিল ৫,১০৪ মেগাওয়াট। ২০২১-এ ৫,০২১ মেগাওয়াট।
বৃহস্পতিবার মরসুমের ‘শীতলতম দিন’ দেখেছে দিল্লি। রাজধানী শহরের সফদরজং এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারও তাই। আয়ানগরের মতো এলাকায় পারদ নেমে যায় ২.২ ডিগ্রিতেও। উজওয়ায় ২.৩ ডিগ্রি এবং দিল্লি রিজ ও লোধি রোড এলাকায় তাপমাত্রা ২.৮ সেলসিয়াসে নেমে আসে। স্বাভাবিকের চেয়ে যা প্রায় ৪ ডিগ্রি কম।
শুক্রবার সকালে কুয়াশার চাদরে মুড়েছে রাজধানীর আকাশ। যার ফলে কমেছে দৃশ্যমানতা। তার প্রভাব পড়েছে যানবাহন চলাচলেও। ব্যস্ত পালম এলাকায় দৃশ্যমানতা নেমে এসেছিল ২৫ মিটারে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিন ঘন থেকে অত্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকবে দিল্লি।
Be the first to comment