রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে নারী কল্যাণ-নারী উন্নয়ন-নারী ক্ষমতায়নে শুরু থেকেই বিশেষ নজর দিয়ে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের সম্মান ও নারী ক্ষমতায়নের জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও জনপ্রিয় হয়েছে। মহিলাদের জন্য বাংলার এমন প্রকল্প কখনও জাতীয়স্তরে আবার কখনও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, রাজ্যের মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নে আরও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার নারী কল্যাণে তৈরি হবে পৃথক বাজেট। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে এই নিয়ম। আগামী অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাবেই পৃথকভাবে নারী কল্যাণ খাতে বরাদ্দ দেখানো হবে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে অর্থ দফতর।
কিন্তু মহিলাদের জন্য কেন এই পৃথক বাজেট? আমলা মহলের ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে কিছু আছে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। আবার কিছু প্রকল্পের সুবিধা পান পুরুষ-মহিলা উভয়েই। ফলে কেবল মহিলাদের উন্নতিকল্পে রাজ্য কত খরচ করছে, তার হিসেবও নির্দিষ্টভাবে সামনে আসা প্রয়োজন। তাই মহিলা সশক্তিকরণ সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পের মোট বরাদ্দ একটি “বাজেট হেড”-এ এনে আলাদা করে দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বাজেট থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, এই খাতে বিগত বছরগুলির তুলনায় রাজ্যের বরাদ্দ কতটা বাড়ল।
Be the first to comment