বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় থমকে গিয়েছে মানুষের জীবন। তাই ভারতের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্যাকেজে ১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা করল বিশ্ব ব্যাংক। জানা গিয়েছে, মূলত ভারত সরকারের থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ বা প্রোগ্রামগুলিতে সাহায্য করতেই এই প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
মূলত, করোনা সংকটে পরিযায়ী শ্রমিক এবং শহরের গরীবদের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক জানিয়েছে, ভারতকে পুনরোজ্জীবিত করা এবং সরকারের ৪০০ বেশি সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকে প্রযুক্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ডিরেক্টর জুনেদ আহমেদ জানিয়েছেন, “সামাজিক সুরক্ষায় ভারসাম্য ফেরানো এবং শহর এবং গ্রামের গরীবদের দিকে নজর দেওয়ার এই কাজ খুব একটা সহজ নয়”।
মোদীর প্রসংশায় তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর মিশন’ দিক নির্ধারণে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং করোনা পরিস্থিতিতে ভারত জীবন এবং জীবনযাপনের পার্থক্য করতে পারছে না”। বিশ্ব ব্যাংক আরও জানিয়েছে, “এটাই সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট, এমন প্যাকেজ এর আগেও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ঘোষণা করা হয়েছে।
আহমেদ আরও জানান, “বিশ্ব ব্যাংক সব প্ল্যাটফর্মগুলিকে একজায়গায় আনতে এবং মানুষকে সামাজিক প্রক্লপগুলির সুবিধা পেতে যেন ছুটোছুটি যেন না করতে হয় তাই ভারত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে”।
গতমাসে, করোনা ভাইরাসের জন্য তৈরি জরুরি অবস্থায় ১৫ মাসের সাহায্য হিসেবে ১৬০ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছিল বিশ্ব ব্যাংক। ওয়াশিংটন-বেসড ডেভেলপমেন্ট লেন্ডার ফার্স্ট-ট্র্যাক ত্রাণ তহবিল শুরু করেছিল ১.৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে। ২৫ দেশকে সুরক্ষা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ আজ ৪০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও স্বাভাবিকত্ব ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘গরীব কল্যাণ যোজনা’তে এই টাকা বিরাট সাহায্য করবে বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন জুনেদ কামাল আহমেদ।
Be the first to comment