এবার জেলবন্দিরাও দেখতে পাবে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা । তারই ব্যবস্থা করলো ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে দেড়শো জন বন্দী বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য লিখিত আবেদন জানায় জেল সুপারে নিরঞ্জন সাহার কাছে। নিরঞ্জন বাবু সেই আবেদনটি ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষর কাছে বিষয়টি জানায়।
ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রশ্মি গ্রুপ অব কোম্পানিকে জানায়। রশ্মি গ্রুপ অফ কোম্পানি ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে পাঁচটি ৩২ ইঞ্চির এলসিডি টিভি বরাদ্দ করে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারকে পাঁচটি এলসিডি টিভি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষের সচিব সুনীল কুমার শর্মা, ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার নিরঞ্জন সাহা, রশ্মি গ্রুপ অব কোম্পানির দুই জেনারেল ম্যানেজার প্রদ্যুৎ সুই ও শুভ মজুমদার এবং ডিরেক্টর শুভেন্দু বিশ্বাস। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষের সচিব সুনীল কুমার শর্মা এবং রশমি গ্রুপ অব কোম্পানির দুই জেনারেল ম্যানেজার ও ডিরেক্টর পাঁচটি এলসিডি টিভি ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার নিরঞ্জন সাহার হাতে তুলে দেন।
ঝাড়গ্রাম বিশেষ সংশোধনাগানের সুপার নিরঞ্জন সাহা বলেন, “বন্দিদের জন্য যে টিভি গুলি ছিল সেই গুলি খারাপ হয়ে গিয়েছিল আমি বহুবার সারানোর চেষ্টা করেছি। আমার অনেক টাকা চলেও গেছে কিন্তু টিভিগুলি আর ঠিক হয়নি। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য বন্দীরা আমাকে একটি আবেদন জানাই সেই আবেদনটি আমি জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষের সচিব মহাশয় কে বিষয়টি জানায়। আজকে এই টিভি গুলি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে”।
ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা প্রদান কর্তৃপক্ষের সচিব সুনীল কুমার শর্মা বলেন, “জেল সুপার এর আবেদন পাওয়ার পরে রশ্মি গ্রুপের সহযোগিতায় পাঁচটি এলসিডি টিভি তুলে দেওয়া হল। যার ফলে বন্দিরা ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা দেখতে পাবে। তারা সকলেই সংশোধনাগারে রয়েছে এর মধ্য থেকেও যদি বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে তাদের মধ্যে সংশোধন হবে টা কি তাই টিভিগুলি দেওয়া হলো তাদের মানসিক দিক সুস্থ রাখার জন্য”।
রোশনি গ্রুপ অফ কোম্পানির ডিরেক্টর শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, “এই সমস্ত পরিবেশে এসে এই সমস্ত কাজ করতে পারলে আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করি । এই বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ম্যানেজমেন্ট বিষয়টিকে পাস করে দেন । যারা বন্দী রয়েছে তারা এখনো দোষী কিনা তা প্রমাণিত হয়নি । কিন্তু তাদের স্বাধীনতা তো হারিয়ে যেতে পারে না । তাই তাদের কথা মাথায় রেখে কোম্পানি টিভিগুলি দিয়ে আর সিদ্ধান্ত নেই”।
Be the first to comment