কান্দাহার বিমান অপহরণকাণ্ডে নিজেকেই পণবন্দী করতে চেয়েছিলেন মমতাঃ যশবন্ত সিনহা

Spread the love

বিমান অপহরণের সময় নিজেকেই পণবন্দী করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ৷

এদিন যশবন্ত সিনহা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ফাইটার। কান্দাহারের বিমান অপহরণের বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভায় এক বৈঠক চলছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পণবন্দি হতেও রাজি ছিলেন। নিজেই বলেছিলেন একথা। বাকি পণবন্দিদের বিনিময়ে তিনি জঙ্গিদের কাছে পণবন্দি হতে চেয়েছিলেন।” উল্লেখ্য, সেই সময় বাজপেয়ী সরকারের অংশ ছিলেন মমতাও।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাসে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান অপহরণ করে জঙ্গিরা।  বিমান অপহরণ করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যায় মাসুদ আজহারের ভাই মহম্মদ রউফ ও দাদা ইব্রাহিম আজহার। এই কাজে তাকে সঙ্গত দিয়েছিল আইএসআই। এর বদলে মাসুদ আজহারকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার। এরপরই জইশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে মাসুদ। সেইসময় এই ইস্যুতে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের মতে, বাজপেয়ীর মতো দুর্বল প্রধানমন্ত্রী আর কেউ নেই। পরে মোদী জমানায় বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকে মাসুদ আজাহারের দাদা ইব্রাহিম মারা গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।

বরাবরই মোদী মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেসুরো গাইতে দেখা গিয়েছে যশবন্ত সিনহাকে। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘স্বেচ্ছাচার’-এর অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির থেকে ইস্তফা দেন জনতা দল থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা এই গেরুয়া শিবিরের জনপ্রিয় নেতা। এদিন যশবন্ত সিনহা বলেন, “বাংলাই পথপ্রদর্শক হবে। এই বিধানসভা নির্বাচন কেবলমাত্র বাংলার জন্যই নয়, ২০২৪ সালের সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেও বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান।”‌ যশবন্ত সিনহা আরও বলেন, “অটলজির সময়কার বিজেপি-র থেকে এখনকার বিজেপি অনেক পার্থক্য। বাজপেয়ীজি সহমতের ভিত্তিতে চলতেন৷ এখন সেটা আর নেই৷”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*