কুমারস্বামীর সরকার ভাঙার পিছনে কি তবে অমিত শাহ? প্রকাশ্যে ইয়েদুরাপ্পার অডিয়ো

Spread the love

মুখ্যমন্ত্রীত্বের নতুন ইনিংস সবে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে নতুন বিতর্কে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ৷ কর্নাটকে কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার)-এর জোট সরকার ভাঙার পিছনে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিলেন খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৷ শাহের বুদ্ধি এবং অঙুলি হেলনে পুরো কাজটা সম্পন্ন হয়েছিল ৷ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন ইয়েদি ৷ আর সেই অডিয়ো ফাঁস হয়ে গেছে সোশাল মিডিয়ায় ( যদিও অডিয়োর সত্যতা রোজদিন.ইন যাচাই করেনি ) ৷ তারপরই শুরু হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক ৷

একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কিছু কথা বলেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে হুব্বালিতে সবিস্তার আলোচনা করেছি। দলের দায়িত্বশীল কর্মীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে অনভিপ্রেত মন্তব্য করা ঠিক নয়। দলের স্বার্থেই একে অপরকে সমর্থন করা উচিত সকলের। সেখানেই কর্নাটকের বিধায়ক ভাঙানোর কথাটি উঠে আসে। যদিও অডিয়োটির বিষয়ে দলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এই অডিয়ো বার্তার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষ।

সে সময় নিজের ভূমিকার সাফাই দিয়ে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, আমি ওদের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করিনি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির তদারকিতে পুরো কাজটা হয়েছে। ওই ১৭ জন বিধায়কের থাকার ব্যবস্থা, এমনকি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন, তা আপনারা সবাই জানেন।

ইয়েদুরাপ্পা আরও দাবি করেন, সরকারের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওদের বিরোধী থাকারই কথা ছিল। কিন্তু, তাঁরা আমাদের বিশেষভাবে সাহায্য করেন। আমাদের ক্ষমতা ফিরে পেতে সাহায্য করেন। তাঁদের সেই ভূমিকার জন্য ওদের পাশে থাকতে হবে আমাদের।

কর্নাটকে কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার) মিলিতভাবে সরকার গড়লেও তা বেশিদিন চালাতে পারেনি ৷ তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেন ইয়েদুরাপ্পা ৷ সে সময় জোট সরকারের ১৭ জন বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মুম্বইয়ের একটি হোটেলে ছিলেন বিদ্রোহী বিধায়করা। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, অমিত শাহের নেতৃত্বে বিধায়ক ভাঙার কাজ করা হচ্ছে। যদিও গেরুয়া শিবির থেকে সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়। উল্টে দাবি করা হয়েছিল, কংগ্রেস-জনতা দল (সেকুলার) নেতাদের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট হয়ে দল ছাড়তে চাইছেন ওই বিধায়করা। সেই পর্যন্ত ওই বিদ্রোহী বিধায়করা আস্থাভোটে অংশ না নেওয়ায় হেরে যান কুমারস্বামী। শনিবার দলের মুখ্যমন্ত্রীর এই অডিয়ো বার্তা শুধু বিতর্ককে খুঁচিয়ে দিল না, বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্রও তুলে দিল।




Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*