মাথাব্যাথা :-
শরীর থাকলে রোগ থাকে। অসুখ তাড়াতে ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে যোগাসন এর মাধ্যমে বহু রোগের বিয়োগ হয় অর্থাৎ বহু রোগ দুর হঠে। এইরকম একটি অসুখ হল মাথাব্যাথা। মাথাব্যাথা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এবিষয়ে কথা বলেছিলাম বিখ্যাত যোগ বিশারদ তুষার শীল এর সাথে। তুষার বাবু প্রথমেই বললেন মাথাব্যাথার কারণ কী এটা জানার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কারণ অনেক সময় ব্রেন ক্যান্সার বা ব্রেন টিউমার হলে মাথাব্যাথা করে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। অনেক সময় চোখের গন্ডগোল থেকে মাথাব্যাথা হয়। এগুলির ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এগুলি ছাড়া মাইগ্রেন বা আধকপালে বা সাইনুসাইটিস থেকে মাথাব্যাথা হয় অনেকের ।এই দুটি ক্ষেত্রে যোগে ভালো ট্রিটমেন্ট আছে, এরকম দেখা গেছে ১৫-20 বছর ধরে এই রোগে ভোগা মানুষ যোগের মাধ্যমে রোগ মুক্ত হয়েছে । তাই মাথাব্যাথা নিয়ে অযথা মাথাব্যাথা না করে করুন যোগ, বিয়োগ হবে রোগ। তুষার বাবু বললেন নেতী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া যায় এই মাথাব্যাথা থেকে, প্রক্রিয়াটি বিশদে জানালেন তুষার বাবু।
এই যোগের ষঠ কর্মের অঙ্গ। লোটা বা গাড়ুর মতো পাত্র নিয়ে তার মধ্যে ঈষদুষ্ণ জল রাখতে হবে , জলে অল্প লবন মেশাতে হবে , এরপর কোমর থেকে নিচের দিকে নেমে ঘাড়কে কাত করে নাসারন্ধ্রের ভিতর ওই জল লোটা থেকে প্রবেশ করাতে হবে। অন্য নাক দিয়ে সেই জল বের হবে । এইভাবে জল ডান নাক দিয়ে নিয়ে বাম নাক দিয়ে বের করতে হবে আবার বাম নাক দিয়ে নিয়ে ডান নাক দিয়ে বের করতে হবে , একেই বলে নেতী প্রক্রিয়া । এভাবে ১সপ্তাহ করলেই ফল পাবেন নিশ্চয়ই।এছাড়া কিছু সহজ প্রাণায়ামের মাধ্যমে সহজে মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনুলোম -বিলোম প্রক্রিয়া মাথাযন্ত্রনা নিরসনে অসাধারন কাজ দেয়।
এক্ষেত্রে ডান নাক দিয়ে প্রশ্বাস গ্রহন করে তারপর ডান নাক চেপে বাম নাক দিয়ে নিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে আবার বাম নাক দিয়ে প্রশ্বাস গ্রহন করে তারপর বাম নাক চেপে ডান নাক দিয়ে নিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে।এইভাবে ১-৫ মিনিট করলে মাথাব্যাথা কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।আজকের মতো যোগে-বিয়োগ-রোগ এখানেই শেষ করছি ।
Be the first to comment