যোগ বিশারদ তুষার শীলের সঙ্গে কথা বললেন রোজদিনের যুগ্ম সম্পাদক পিয়ালি আচার্য:
সাধারন ঘাড়ে ব্যাথা বলতে আমরা বুঝি সার্ভাইক্যাল স্পন্ডোলিসিস। এটি একধরনের বাত। তবে ঘাড়ের অনেক রকম ব্যাথা আছে। শুধু স্পন্ডেলাইটিস বা সার্ভাইক্যাল স্পন্ডোলিসিস নয়,এমনকি ঘাড়ের হাড়ে টিউবার কুলোসিস বা অন্য কোনো ব্যাধি থেকে ঘাড়ের ব্যাথা হতে পারে। সুতরাং প্রথমেই ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
যাঁরা সার্ভাইক্যাল স্পন্ডোলিসিসে ভুগছেন তাঁরা ঘাড় সামনে হেঁট করবেন না , ভারী জিনিস তুলবেন না, মেয়েদের ক্ষেত্রে ঝাঁট দেওয়া বা কাপড় কাচা বন্ধ রাখলেই ভালো। দুটি আসন খুবই উপযোগী , তার প্রথমটি আজকে দেওয়া হল। এ বিষয়ে বললেন যোগ বিশারদ তুষার শীল।
আসনটির নাম হল দন্ডায়মান ভূজঙ্গাসন – দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে দেওয়াল থেকে ১০ ইঞ্চি দুরে দু-পায়ের মধ্যে ১০ ইঞ্চি ফাঁক রেখে দাঁড়াতে হয়। মাথার পিছন থেকে হিপ পর্যন্ত দেওয়ালে লেগে থাকবে তখন তালু দুটো টান টান করে দেওয়ালে রাখুন। মাথার পিছনটা শুধু দেওয়ালে লাগিয়ে রেখে ঘাড়, পিঠ, কোমর, নিতম্ব দেওয়াল থেকে হাতের জোরে ঠেলে দিন অর্থাৎ এই অংশ গুলো আর লেগে থাকবে না। এই অবস্থান থেকে লম্বা প্রশ্বাস এবং নিশ্বাস নিন। পরে আবার দেওয়াল ১০-১৫ সেকেন্ড দেওয়ালে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিন। এভাবে একক্ষেপ হল এভাবে ২-৩ বার করুন।
ঘাড়ের ব্যাথা যখন খুব বেশি থাকবে তখন যোগ ব্যায়াম করা উচিত নয়। ব্যাথা কমিয়ে নিয়ে অর্থাৎ গরম ঠান্ডা জল দিয়ে ব্যাথা কমিয়ে নিতে হবে। বালিশ বিহীন শক্ত বিছানায় শোয়া বাঞ্ছনীয় না হলে পাতলা বালিশ নিয়ে শোবেন। আগামীকাল এই ঘাড়ে ব্যাথার আরেকটি যোগ ব্যায়াম নিয়ে কথা বলবেন তুষার শীল।
Be the first to comment