অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ঝাড়খণ্ডের প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে ইট ও ১১ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা বললেন বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। ৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালত রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির হবে। আর বিকল্প হিসেবে মসজিদ তৈরির জন্য পাঁচ একর জমি পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। মাসখানেক পরই শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে নির্বাচনী প্রচারে এসে যোগী বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে ইট ও ১১ টাকা করে অনুদান দিতে হবে।
নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই রাম রাজ্য গড়ে উঠবে। এক ধাক্কায় কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা মুছে দিয়েছেন মোদী। এখন আপনি কাশ্মীর, লাদাখ, জম্মু থেকে শুরু করে বৈষ্ণোদেবী, অমরনাথ যাত্রা করতে পারেন। জমিও কিনতে পারেন। যদি আপনাকে কেউ এই অধিকার দিয়েছেন, তাহলে তিনি নরেন্দ্র মোদী।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন ২০১৯ নিয়েও বিরোধীদের কটাক্ষ করেন যোগী। বলেন, ভারত কোনওদিনই কোনও বিশেষ গোষ্ঠী, জাতি বা সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত করেনি। কিন্তু পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশে ছবিটা পুরো উলটো। এখানে সংখ্যালঘুদের মারধর করা হয়। তাদের দেশের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। মেয়েদের হেনস্থা করা হয়। মানুষজনের সম্পত্তি আত্মসাৎ হয়। তারাই শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসেন। এবার সরকার তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। তাই যে বিরোধী দলগুলি এই আইনের বিরোধিতা করছেন, তারা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।
বিরোধীদের আক্রমণ করে যোগীর বক্তব্য, তারা গরিব নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করছেন আর অনুপ্রবেশকারী যারা আপনার অধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদের হয়ে কথা বলছে। আপনারাই বলুন, আমাদের কি পাকিস্তানের ভাষা গ্রহণ করা উচিত? এই সব দলগুলি কি আপনাদের ভোট পাওয়ার যোগ্য? যদি কারও রামের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকে, তাহলে কেউ তাদের বন্ধু হতে পারে না।
ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস, RJD, CPI(ML) কে আক্রমণ করে যোগীর বক্তব্য, এই সব দলগুলি দেশে সন্ত্রাসবাদ ও নকশালদের মদত দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছে, কিন্তু গরিব মানুষদের স্বার্থে কিছুই করেনি।
Be the first to comment