নির্বাচনের প্রথম দিনই উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। উত্তরপ্রদেশ থেকে সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ল বাংলায়। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস – একযোগে বিরোধী দলগুলি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এ নিয়ে। এভাবেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা লড়াইয়ে ঢুকে পড়ল বাংলাও।
বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে সাত দফার বিধানসভা নির্বাচন। এদিন ৫৭ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আর এদিন ভোরেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তিনি বলেন, ”একটা কথা আপনাদের মন থেকে বলতে চাই, গত পাঁচ বছরে বহু দুর্দান্ত কাজ আমরা করেছি। যদি আপনারা আমাদের আর সুযোগ না দেন, তাহলে এই পাঁচ বছরের পরিশ্রম বৃথা যাবে। উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, কেরল বা কাশ্মীরের মতো হয়ে যেতে একেবারেই বেশি সময় লাগবে না। আপনাদের ভোট আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আপনাদের ভোটই ভয়হীন জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে।” কেরল এবং বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে একাসনে বসিয়ে যোগীর ইঙ্গিত, কাশ্মীরের মতোই বাংলা এবং কেরলের মানুষ ভীতি নিয়ে জীবনযাপন করেন।
এভাবে বাংলার নাম নেওয়ায় ক্ষোভ ফুঁসে উঠেছেন বঙ্গের রাজনীতিবিদরা। যোগীর এই মন্তব্যকে তাচ্ছিল্যের সুরেই উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর মন্তব্য, ”যোগী ভয় পেয়েই এ ধরনের মন্তব্য করছেন। বুঝতেই পারছেন, এবার তাঁদের হার আসন্ন।” যোগীর এ ধরনের মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। অধীরের মন্তব্য, ”অধমপ্রদেশ হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যোগীর মন্তব্যই তার প্রমাণ।”
সুজন চক্রবর্তী বলেন, ”বাংলার কথা উল্লেখ করে বঙ্গবাসীর মধ্যে বিভাজন ধরাতে চাইছেন উনি। অত্যন্ত নিন্দনীয় মন্তব্য এবং এতেই বিজেপির অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট হয়।” সিপিএমের আরেক নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, ”ভোটের দিন এভাবে মানুষজনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে যোগী আদিত্যনাথ। এখন নির্বাচন কমিশন চুপ কেন? উত্তরপ্রদেশবাসীর কাছে আবেদন, আপনারা বিজেপি বিরোধিতায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।”
Be the first to comment