বুধবার বকরি ঈদ উপলক্ষ্যে প্রকাশ্যে পশু হত্যা করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের সব জেলা শাসকদের এই নির্দেশ দেন যোগী। যোগী বলেন, রাজ্যের কোথাও যেন প্রকাশ্যে পশু হত্যা না হয়। এমনকী পশু হত্যার পর ড্রেন দিয়ে যেন রক্ত না বয়ে যায় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে জেলা শাসকদের। কোথাও যদি প্রকাশ্যে পশু হত্যার অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যোগীর তরফে।
এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, হত্যার আগে ও পরে সেই পশুর সঙ্গে সেলফি তোলাও যাবে না। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক মন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েক বছর ধরে পশুকে কোরবানি দেওয়ার আগে ও পরে তার সঙ্গে সেলফি তোলার প্রবণতা বেড়েছে। এটা অন্য ধর্মের লোকেদের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মেরই লোকের বাস, সেখানে বুধবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। কোনও রকমের অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে পুলিশকে। কেউ এই নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
এছাড়া এই সময় উত্তরপ্রদেশের মীরাট ও অন্যান্য অঞ্চল দিয়ে কানওয়ার যাত্রা চলছে। শিবের মাথায় জল ঢালতে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের বকরি ঈদের দিনে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কারও ভাবাবাগে যাতে আঘাত না লাগে সে জন্যই এই ব্যবস্থা। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের।
প্রসঙ্গত, মুসলিমরা বিশ্বাস করেন ধর্মকে রক্ষার জন্য ইসলামের দূত ইব্রাহিম তাঁর ছেলেকে কোরবানি দিয়েছিলেন। তাই এই দিনে ছাগল কোরবানি দিয়ে তারা এই দিন উদযাপন করেন। কোরবানি দেওয়ার পর সেই ছাগল রান্না করে সবাই মিলে খাওয়া হয়। গোটা বিশ্ব জুড়ে মুসলিমরা এই দিনে ইব্রাহিমের কোরবানিকে স্মরণ করে থাকেন।
Be the first to comment