রণক্ষেত্র গোরক্ষপুর, যোগীর বিরুদ্ধে প্রার্থী খোদ ‘রাবণ’!

Spread the love

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নামছেন উত্তর প্রদেশের দলিত নেতা তথা ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। এ দিন তাঁর দল আজাদ সমাজ পার্টির তরফে জানানো হয়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলনেতা চন্দ্রশেখর আজাদ গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন। এই কেন্দ্রেই বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অর্থাৎ সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নামছেন ভীম আর্মির প্রধান।

লড়াকু চরিত্রের জন্য রাবণ নামে পরিচিত চন্দ্রশেখর আজাদই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রথম প্রার্থী হলেন। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টুির মতো বড় বড় দলও এখনও যোগী আদিত্যনাথের যোগ্য প্রতিপক্ষকে বেছে নিতে পারেনি। তবে চন্দ্রশেখর আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই লড়তে আগ্রহী। এ দিন তাঁর দল আজাদ সমাজ পার্টির তরফে সেই সিদ্ধান্তই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে গোরক্ষপুর কেন্দ্র তাঁর অতি পরিচিত, কারণ এই কেন্দ্র থেকেই তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আসছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়বেন বলে ঘোষণা করলেও, শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসেন ভীম আর্মির প্রধান। সেই সময় তাঁর নিজস্ব কোনও দল না থাকায় মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেসকেই সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন তাঁর নিজস্ব দল থাকায়, ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলেই জানান তিনি।

গতবছরই তিনি যোগীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন, “উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে আমার জয় গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল যে যোগী আদিত্যনাথ যেন বিধানসভায় জায়গা না পায়। তাই উনি যে কেন্দ্র থেকে লড়বেন, আমিও সেখান থেকেই লড়ব।”

সম্প্রতিই অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট ঘোষণার কথা ছিল চন্দ্রশেখর আজাদের। কিন্তু জোট ঘোষণার দিন সকালেই তিনি সরে আসেন, জানান সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধছে না তাঁর দল। আজাদের দাবি ছিল, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে ২৫টি আসন ভাগাভাগির কথা থাকলেও, তারা মাত্র দুটি আসন দিতে রাজি হয়েছিল।

উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের দলিতদের পাশে দাঁড়িয়ে ও উচ্চ বর্ণের ঠাকুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেই খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম আর্মি। সপার সঙ্গে জোট তৈরির আগেই ভেঙে গেলেও, চন্দ্রশেখর আজাদ জানিয়েছিলেন, বিজেপিকে থামাতেই তিনি বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেছিলেন। অখিলেশ যাদবকে তিনি বড় দাদা বলে গণ্য করেছিলেন। জোট তৈরি হওয়ার আগেই তা ভেঙে যাওয়ায়, কিছুটা দুঃখ থাকলেও লড়াই জারি থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*