ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উঠুক সাম্বা ঝড়, এই আশাতেই বুক বাঁধছে আজ কলকাতা। বিশ্বের যে প্রান্তেই ফুটবল খেলা হোক না কেন, কলকাতা স্থির থাকতে পারে না। তার ওপর আবার যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। যেটা গুয়াহাটিতে হুওয়ার কথা ছিল। সেখানকার মাঠের দুরবস্থায় শাপে বর হয়েছে, ম্যাচ সরে কলকাতায় হচ্ছে। ইংল্যান্ডের গ্রুপ লিগের ম্যচগুলো প্রায় সবুকটাই এখানে হয়েছে। তারাও দারুন ফুটবল খেলছে। ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ড বললেই ফুটবল ইতিহাসের ৬২, ৭০-এর বিশ্বকাপ এ প্রজন্মের অনেকে চাক্ষুস না করলেও, গল্প প্রায় সকলেরই জানা। ছোটরা খেললেও, হাজার হলেও সেই প্রতিপক্ষই নামতে চলেছে সাজানো যুবভারতীতে। এদিকে জার্মানির মতো দলকে যেভাবে শেষবেলায় সাম্বা ঝড়ে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিলের ছোটরা তাতে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। এছাড়াও কলকাতার সমর্থন ব্রাজিল ঘেঁষা। সাম্বা ঝড়ের সঙ্গে বুক ভাসাতে ভালবাসেন ফুটবলপ্রেমীরা।
এদিকে মোটে তিন মিনিটে কলকাতায় ম্যাচ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এখনও পর্যন্ত ফিফার আস্থার পুরো মূল্য মিটিয়ে দিতে পেরেছে বাংলা। টিকিট নিয়ে ডামাডোল হওয়ার শঙ্কা ছিল। ভিড়ও হয়েছে বেজায়। কিন্তু সেসব সুষ্ঠুভাবেই সামলেছে রাজ্যের ক্রীড়া দপ্তর।
সব মিলিয়ে এক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। মাঠে নামছে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড। আর সে যুদ্ধের সৈনিক হয়ে যেন স্টেডিয়াম ভরাতে চলেছেন কয়েক হাজার দর্শক। কলকাতার প্রত্যাশা হয়তো সাম্বা ঝড় উঠুক। তবে খেলার নিয়ম অনুযায়ী কেউ একজন জিতবে। কী হবে তা সময়ই জানাবে। তবে সকলের প্রত্যাশা বোধহয় একটাই, জিতে যাক ফুটবল। জিতে যাক বাঙালির ফুটবলপ্রেম।
অন্যদিকে বুধবার মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে গত বারের রানার্স মালির লড়াই তিন বারের ইউরোপ সেরা স্পেনের বিরুদ্ধে। সিনিয়র পর্যায়ে দু’দেশ মুখোমুখি হলে হয়তো তুলনাই হতো না। স্পেন অনেক বেশি শক্তিশালী। কিন্তু মালির অনূর্ধ্ব-১৭ দল এই টুর্নামেন্টে দেখিয়ে দিয়েছে যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা তারা রাখে।
Be the first to comment