আচমকাই গাড়ির সামনে চলে এসেছিল একটা স্কুটার। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মুখোমুখি ধাক্কা। তাতেই স্কুটার থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় চালকের। সাফাইতে এমনটাই জানিয়েছেন গাড়ি চালক আলি আব্বাস। স্টিয়ারিং তখন তাঁরই হাতে। গাড়ির মালিক অবশ্য তিনি নন। গাড়িটি বলি অভিনেত্রী জারিন খানের। দুর্ঘটনার সময় তিনিও গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বলেই জানিয়েছে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার বেলার দিকে উত্তর গোয়া বিচের কাছে অঞ্জুনা গ্রামে। মৃত স্কুটার চালকের নাম নিতেশ গোরাল। বয়স বছর ৩১। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অঞ্জুনা গ্রামের কাছেই মাপুসা টাউন। সেখানকার বাসিন্দা নিতেশ।
গতকাল অঞ্জুনা গ্রামের দিকে স্কুটার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। সেই সময় একটি গাড়ির সঙ্গে মুখমুখি ধাক্কা লাগে তাঁর স্কুটারের। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ইনোভা গাড়িটি দ্রুত গতিতে একটা বাঁক নিয়েছিল, তাতেই মুখোমুখি পড়ে যান নিতেশ। ধাক্কায় স্কুটার থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে রাস্তায় পড়ে কাতরাতে দেখেও গাড়ি থেকে নেমে আসেননি কেউই। স্থানীয়রাই তাঁকে তুলে মাপুসার অ্যাসিলো হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় যুবকের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় গুরুতর চোটের কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল নিতেশের। চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আলি আব্বাস। পেশায় তিনি অভিনেতাও। পাশেই ছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী জারিন খান। সূত্র ধরে পুলিশও জানতে পেরেছে, ঘাতক গাড়িটি জারিন খানের নামেই রয়েছে। অঞ্জুনা থানার শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। গাড়িতে সেই সময় কারা ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনার বিষয় মুখে কুলুপ আঁটলেও, জারিনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, চালকের মাথায় নাকি হেলমেট ছিল না। আর গাড়িটি তখন পার্ক করছিল। স্কুটার চালকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িয়ে ধাক্কা মারে।
সলমনের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন জারিন খান। ‘হাউসফুল টু’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু, দর্শকদের মনে সে ভাবে জারিন দাগ কাটতে পারেননি। ২০১৫তে ‘হেট স্টোরি থ্রি’ ছবিতে বেশ কিছু খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করে ফের লাইমলাইটে চলে আসেন নায়িকা। সলমনের বিপরীতে ‘বীর’ ছবিতেও দেখা গেছে তাঁকে। দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি নায়িকা। তবে তাঁকে শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment