প্রথমে সংখ্যা ছিল ২৯। দিন কয়েকের মধ্যেই সেটা বেড়ে হয় ৫৫। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল, বুধবার রাজস্থানের জয়পুর-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা মিলিয়ে জ়িকা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল একশো। আক্রান্তদের মধ্যে আবার ২৩ জন গর্ভবতী মহিলাা। জ়িকার বাড়বাড়ন্তে রীতিমতো উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, রাজস্থানের জয়পুরে জ়িকা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে আরও কয়েকটি জেলায়। সবমিলিয়ে ২০টি নতুন জ়িকা ভাইরাস আক্রান্তের হদিস মিলেছে রাজস্থানে। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে জয়পুরে।
ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশা এই রোগেরও বাহক। ডেঙ্গির মতোই জ়িকা আক্রান্ত হলে জ্বর আসে। গায়ে র্যাশ বেরোয়। পেশি, গ্রন্থিতে ব্যথা ও মাথাব্যথা হয়। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্তঃসত্ত্বারা। এই ভাইরাসের সংক্রমণে গর্ভস্থ বাচ্চার মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণ হয় না। অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের মাথা নিয়ে জন্মায়। জ়িকার কোনও টিকা নেই।
রাজস্থানে প্রথম জ়িকা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল জয়পুরের শাস্ত্রীনগর ও সিন্ধি ক্যাম্পে। রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) বীনু গুপ্তা জানিয়েছেন, সতর্কতা জারি হয়েছে রাজস্থানে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে। গতকালই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়েছে। গর্ভবতী মহিলাদের সংক্রামিত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আক্রান্তদের আলাদাভাবে রেখে চিকিৎসা চলছে জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালে।
শহরের শাস্ত্রী নগর এলাকাতেই যেহেতু জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি, তাই সেখানে কাজে নেমেছে রাজস্থান সরকারের বিশেষ মেডিক্যাল টিম। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করছে প্রায় ৩৩০টি মেডিক্যাল টিম। জয়পুর শহরের প্রায় এক লক্ষ বাড়িতে আলাদা ভাবে অভিযান চালাচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। দেখা হচ্ছে, সেই সব বাড়িতে জ়িকা ভাইরাস বহনকারী মশা বা তাদের লার্ভা জন্মাচ্ছে কি না।
Be the first to comment