বিমার জন্য দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়ে জিয়াগঞ্জের স্কুলশিক্ষক ও তাঁর পরিবারকে খুন করা হয় ৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বললেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। জিয়াগঞ্জে শিক্ষক ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, পুত্রকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহারাকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷
পুলিশ সুপার জানান, একটি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মৃত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। তাঁর কাছে বিমা করিয়েছিল উৎপল। দু’দফায় টাকা দিয়েছিল সে ৷ কিন্তু একবারই রসিদ দেন বন্ধুপ্রকাশ। বলেন, আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখি এই সিস্টেমের মধ্যে কিছু লোক চিট হয়েছেন ৷ টাকা পয়সা তারা হয়তো দিয়ে দিয়েছেন ৷ কিন্তু সেগুলো জমা হয়নি ৷ এটাই তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্তের নাম উঠে আসে। উৎপলের বাবা মাধব বেহরা চাননি এই ধরনের অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা ইনভেস্ট করতে ৷ কিন্তু উৎপল বাবাকে বুঝিয়ে ইনভেস্ট করে ৷ ১১ বছরের টার্ম পলিসি ৷ প্রতি বছরে ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে ২৪,১৬৭ টাকা ৷ দু’টো ইনস্টলমেন্ট পেমেন্ট করেছিল উৎপল ৷ একটার রসিদ পেয়েছিল ৷ একটার পায়নি ৷ তাই টাকা ফেরত চেয়েছিল উৎপল ৷ রসিদ এবং টাকা কোনও কিছুই না দিয়ে বন্ধুপ্রকাশ তাকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ উৎপলের। আর সেই রাগেই খুন করেছে সে ৷ জেরায় এ কথা উৎপল স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের ৷
পুলিশ সুপার আরও বলেন, কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে পালাতে দেখেছিলেন ৷ তাঁদের জেরা করা হয়েছিল ৷ পরিবারের সদস্যদের জেরা করা হয়েছিল। বন্ধুপ্রকাশ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যু্ক্ত ছিলেন ৷ কিন্তু তদন্তে উঠে আসে কয়েকজনের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, দশমীর দিন সকালে জিয়াগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছিল পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ও তাঁদের ছ’বছরের ছেলে অঙ্গন পালকে।
Be the first to comment