রোজদিন ডেস্ক :- সন্দেশখালি ভিডিও গুলি নিয়ে যা যা ভাইরাল হয়েছে তার মধ্যে একটিতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন এক মহিলা। সেই মহিলার দাবি , সাদা কাগজে সই করিয়ে পরে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। এবং তা করিয়েছিলেন পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস। সন্দেশখালির আন্দোলনের অন্যতম মুখ এই মাম্পিকে তলব করেছিল পুলিশ। তবে মঙ্গলবারই বসিরহাটের মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। তবে জামিন চাইলে তা তো দেওয়া হয়নি, উল্টে জেল হেফাজতে গেলেন মাম্পি।
সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মহিলাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন রেখা পাত্র, মাম্পি দাসরা। কিন্তু ভোটের মাঝে সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক যে সমস্ত ভিডিও ভাইরাল হয় তারপর বিজেপির উপর চাপ বাড়ে। কারণ, সেইসব ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই ছিল সাজানো। পরে মিথ্যে মামলা তুলতে গেলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মাম্পিকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
বসিরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মাম্পি। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে তাঁকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, পিয়ালি ওরফে মাম্পি একজন বিজেপি কর্মী বলেও পরিচিত। ইতিমধ্যেই ভিডিও বিতর্কে বিজেপির চাপ বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলির মধ্যে একটিতে আবার দেখা গেছে রেখা পাত্র, পিয়ালি দাসকে। সেই ,ভিডিওতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করা নির্যাতিতাদের পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা।
Be the first to comment