অসীমার ধনেখালিতে লকেট ঢোকার পরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড, উঠলো চোর চোর শ্লোগান..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- ভোটগ্রহণের দিন দফায় দফায় তপ্ত হুগলি লোকসভা কেন্দ্র। সকাল থেকেই ময়দানে দাপাচ্ছেন বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । তৃণমূল কংগ্রেসকে অল-আউট অ্যাটাকের মুড নিয়েই হুগলি লোকসভার বিভিন্ন বুথ বুথে ঘুরছেন তিনি। বেলা বাড়তেই এ দিন লকেট পৌঁছে যান ধনেখালিতে। ওই অঞ্চলেই তখন ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের অসীমা পাত্র। লকেটকে দেখেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
একজন বলছেন চোর। অন্যজন বলছেন ডাকাত। কার্যত অশান্ত হুগলির ধনেখালি। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বুথে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ডাকাত স্লোগান। অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র তুললেন ‘ডাকাত’ স্লোগান। পাল্টা আবার লকেট বললেন, ‘চোর’ দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীর বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত ধনেখালি।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল। সেই সময় লকেট চট্টোপাধ্যায় আচমকাই এলাকায় এসে পৌঁছন। কেন তিনি এসেছেন এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অসীমার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। কার্যত সম্মুখ সমরে দেখা যায় লকেট-অসীমাকে। বস্তুত, এই মইদুপুরেই গতবার লোকসভা ভোটের সময় ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
এরপর আজ এলাকায় পৌঁছতেই তৃণমূলের তরফ থেকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান তোলা হয়। এমনকী বিজেপি-র তরফ থেকে ‘চোর-চোর’ স্লোগান ওঠে। এ প্রসঙ্গে অসীমা বলেন, “ডাকাত… এটা আমার বাড়ি। উনি নাটক করতে এসেছেন। লকেট ডাকাত, ডাকাত।” এ দিকে, আবার লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তোরা গলা খারাপ করে আরও জোরে বল। এরা সব রিগিং করছিল। ভোট লুট করছিল। তাই এসেছি। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি। আরও ফোর্স পাঠাতে বলছি।”
উত্তেজনা ছড়াতে সময় লাগেনি। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যুবকের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। তারপরেই শুরু হয় বচসা। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শোনা যায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। পাল্টা লকেট ও তাঁর অনুগামীদের মুখে তখন চোর-চোর স্লোগান। একসময় লকেটকে ডাকাত বলেও চিৎকার করতে শোনা যায় অসীমা ও তাঁর লোকজনকে।
তেতে ওঠে পরিস্থিতি। ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনও তখন হতভম্ভ হয়ে পড়েন। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। ছুটে আসে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কোনওমতে তাঁরা সরিয়ে দেন বিবদমান দু-পক্ষকে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য ধনেখালির ভোট বরাবরই একটা ফ্যাক্টর। সেটা নিজের পক্ষে রাখতে পারলে এই আসন ধরে রাখা সহজ হবে লকেটের পক্ষে। আবার তৃণমূলের পক্ষেও আসন উদ্ধার করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে ধনেখালি। তাই সকাল থেকেই রীতিমতো হাই-ভোল্টেজ ধনেখালির শিবাইচণ্ডীপুর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*