চিরন্তন ব্যানার্জি :- নীতীনের সুরেই জীবন ও স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি তোলার দাবি মমতার, না হলে পথে নামার হুশিয়ার
মোদী সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমার উপর জিএসটি চাপানোয় এবার ক্ষোভে ফেটে পরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ না নিলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে তাঁরই সতীর্থ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী দাবি করেছেন, জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক। বুধবার গডকড়ীর এই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। বৃহস্পতিবার একই দাবি তুললেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিই নয়, মমতা কিছুটা হুঙ্কারের সুরেই বলেছেন, জিএসটি প্রত্যাহার না হলে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
বৃহস্পতিবার মমতা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে লেখেন, আমাদের দাবি ভারত সরকারের কাছে যে জীবন বিমা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিমা থেকে জিএসটি তুলে নিন। কারণ এগুলি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত। মমতা লিখেছেন, জিএসটি বিষয়টি খারাপ কারণ এটা মানুষের যে প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন তার জায়গায় খারাপ প্রভাব ফেলে। যদি সাধারণ মানুষের বিরোধী জিএসটি সরকার তুলে না নেয় তবে আমরা এবার রাস্তায় নামব। লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে এই নিয়ে সরব হন তৃণমূলের দুই সাংসদ দোলা সেন এবং সাকেত গোখলে। দোলা সেন সরাসরি গডকড়ীকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি গড়করীর প্রস্তাবকে সমর্থন করি। হয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তা মানুন, না হলে পদত্যাগ করুন।’’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের যে করের কাঠামো আছে তাতে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। এই নিয়েই বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রী নীতীন গডকড়ি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন সেখানে উল্লেখ করেন,
জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ জিএসটি এক দিকে যেমন বিমাক্ষেত্রকে সঙ্কুচিত করছে, তেমনই প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার মুখে ফেলছে। তিনি বলেন, ‘জীবনবিমার প্রিমিয়ামের উপরে জিএসটি চাপানোর অর্থ হল যে জীবনের অনিশ্চয়তার উপরে জিএসটি চাপানো হচ্ছে।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান যে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপরে যে ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো হচ্ছে, তা ওই ক্ষেত্রের ব্যবসার উন্নতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদু’টির কর কাঠামো পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন গডকড়ী।
এবার একই দাবি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার বিষয় মমতার দাবি মেনে কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা থেকে জিএসটি সরকার তুলে দেয় কি না।
গ্রাফিক্স : চিরন্তন
Be the first to comment