চিরন্তন ব্যানার্জি :- ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং তিন ফৌজদারি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়ে গেল রাজ্য বিধানসভায়। গত দু’দিন ধরে এই প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার ধ্বনিভোটের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন শাসকদলের বিধায়করা। বিরোধীরা ভোট দিয়েছেন বিপক্ষে। যদিও এই আইন কেন্দ্রে পাস হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রে পাস হয়ে যাওয়া আইনের বিরোধিতা রাজ্য বিধানসভায় করা অর্থহীন। বুধবার বিধানসভায় ন্যায় সংহিতা এবং তিন ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। বুধ এবং বৃহস্পতিবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রের আইন বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় এদিন বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিবেকানন্দ বাউড়ি, রবীন্দ্রনাথ মাইতি, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ আলোচনায় অংশ নেন। আর তৃণমূলের তরফে বলেন, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, দেবব্রত মজুমদার, তরুণ মাইতি, দেবাশিস কুমার, নাসিরুদ্দিন আহমেদ এবং হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ন্যায় সংহিতা বিরোধী প্রস্তাবের পক্ষে মলয় বলেন, “সংসদ যেমন কেন্দ্রের আইনসভা, বিধানসভাও তেমন রাজ্যের আইনসভা। দুই জায়গাতেই আইন তৈরি করা যায়। কেন্দ্রে পাস হওয়া কোনও আইন যদি সংশোধন করার প্রয়োজন হয়, রাজ্য বিধানসভাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা একটা জনবিরোধী আইন। এতে রাজ্যের এবং মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। এই বিল পাস করার সময় বার কাউন্সিলের কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। ল’কমিশনের কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। তাদের সুপারিশ মানা হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি চিঠি দিয়েছিলেন। তার কোনও মতামত না শুনেই ১৪৬ জন এমপিকে সাসপেন্ড করে আইন পাস হয়েছিল।” বিধানসভায় দু’পক্ষের আলোচনা শেষ হওয়ার পর ধ্বনিভোট অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ন্যায় সংহিতা এবং তিন ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব পাস হয়। এদিনের আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “যে আইন দেশে ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? দেশের আইন বলবৎ হওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব তো পড়বে না।” একইসঙ্গে তিনি জানান, “রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং অনুপ্রবেশ রুখতে সেভ বেঙ্গলের জন্য প্রস্তাব আনুন। আমরা সমর্থন করব।”
Be the first to comment