সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপির ব্যস্ততা বাড়ল। সোমবার সন্ধ্যায় অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বাড়িতে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক বসে। একদিকে যখন বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক চলছে, তখন একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠী বিধানসভায় আস্থা ভোট করার ব্যাপারে রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারিকে চিঠি দেওয়ার তোড়জোড় করছে। ওই চিঠি লেখার জন্য শিবসেনার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বিশিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
উদ্ধব ঠাকরের শিবিরের অবশ্য আস্থা ভোটে যাওয়ার বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই। তারা প্রথম থেকেই আস্থা ভোটের কথা বলে আসছে। জোট সরকারের চালিকাশক্তি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও আগেই বলেছেন, যা হওয়ার, হবে বিধানসভায়। সেখানেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ, কারা সংখ্যালঘু। শিন্ডে শিবিরের দাবি, তাদের সঙ্গে অন্তত ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন শিবসেনা এবং নির্দল মিলিয়ে। মঙ্গলবার আরও এক বিক্ষুব্ধ বিধায়কের গুয়াহাটির হোটেলে যাওয়ার কথা। শিন্ডে শিবিরের দাবি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে উদ্ধব শিবির।
এই আবহেই শিবসেনার মন্ত্রী সুভাষ দেশাই আবার বিক্ষুব্ধদের প্রতি নতুন হুমকি দেন। তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা যদি মুম্বই ফেরেন, তা হলে তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই শিবসেনা ভবনে চলে আসবেন। বাকিদের ৭২ ঘণ্টা মুম্বই বিমানবন্দর ছাড়তে দেওয়া হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও মহারাষ্ট্রে শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত। মুম্বইতে এদিন সন্ধ্যায় নির্দল বিধায়ক রাজেন্দ্র ইয়েরভকরের অনুগামী এবং শিবসেনা সমর্থকদের মারামারি হয়েছে। পুণেতে শিন্ডের ছেলের অনুগামীদের সঙ্গে শিন্ডে গোষ্ঠীর গোলমাল হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও মুম্বইতে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের কুশপুতুল পোড়ায়। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে ঢোকার আগে বিজেপি বিধায়ক সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার আবার হাতের দুই আঙুল দিয়ে ভিকট্রি সাইন দেখান। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিজেপি মহারাষ্ট্রের সংকট কাটানোর ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ করবে। সুধীর সাংবাদিকদের সঞ্জয় রাউতের কথাবার্তাকে খুব বেশি গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিজেপির এই ব্যস্ততা এবং বিধায়ক সুধীরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার তারা সরকার ভাঙার কাজে খোলাখুলিই নামতে চলেছে।
Be the first to comment