পরপর তিনদিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এরপর গত কয়েকদিনের টানাপোড়েন। কলকাতার এমএলএ হস্টেলেই ছিলেন তিনি। আর মঙ্গলবার বাগডোগরা হয়ে সটান একেবারে মেখলিগঞ্জ। তাঁর নিজের কেন্দ্র। আর পরেশ অধিকারী মেখলিগঞ্জে পৌঁছতে একেবারে পুষ্পবৃষ্টি শুরু করে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। আর গত কয়েকদিনের জেরার ধকল সামলে পরেশ অধিকারীও একেবারে যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব নিয়ে ঘুরলেন এলাকায়।
আদালতের নির্দেশে মেয়ের চাকরি গিয়েছে। বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তৃণমূলের নেতৃত্বও এনিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে। কিন্তু মেখলিগঞ্জে অবশ্য অন্য ছবি। সেখানে পরেশের জন্য় অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের একাংশ। আর খাসতালুকে মন্ত্রী পা দিতেই উচ্ছাস কর্মীদের মধ্যে। হলদিবাড়ি শহরের দুর্গামন্ডপের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে তিনি পুজো দেন। হলদিবাড়িতে পরেশ অধিকারীকে বাইক মিছিল করে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়িতে যান তিনি।
তবে পরেশকে ঘিরে কর্মীদের একাংশের মধ্যে নানা দোলাচল, দ্বিধা তৈরি হয়েছে। সেটা আঁচ করেই তাঁদের জন্য ভোকাল টনিক দেন পোড় খাওয়া বাম নেতা পরেশ অধিকারী। সূত্রের খবর, তিনি কর্মীদের জানিয়েছেন, কোনও চিন্তা নেই। আমি আবার আগের মতো সব জায়গায় যাব। তবে পরেশকে ঘিরে অবশ্য এখনও কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। সিবিআই জেরার পরে তাঁর সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠতা রাখা যাবে, কতটা দূরত্ব রাখা সমীচিন তা মেপে দেখছেন অনেকেই।
Be the first to comment