ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির হাত ধরে বহু তরুণ ক্রিকেটারের ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল। তাদের মধ্যেই উজ্জ্বলতম একজন হলেন এক তরুণ পঞ্জাবি ছেলে যুবরাজ সিং। প্রথম সুযোগ পেয়েই বাঁ-হাতি যুবরাজ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলকে বহু দিন সার্ভিস দেওয়ার মশলা মজুত আছে তার মধ্যে। জীবনের প্রথম ম্যাচেই তিনি অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে দাপটে ব্যাট করেছিলেন। তখন তার বয়স কত ছিল খুব জর ১৯-২০। সেই যুবরাজই আজ ৩৬-এ পা দিলেন। তিনি শুধু ভারতের নয়, বিশ্বক্রিকেটেরও অন্যতম নক্ষত্র।
ভারত ২০০৭-এ টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল। ২০১১-য় ওডিআই বিশ্বকাপও জেতে ভারত। আর এই দুই জয়ের পিছনেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল যুবির। দুইটি ক্ষেত্রেই টুর্নামেন্টের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এমনকি অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয়েও তার অবদান ভোলার নয়। সেই টুর্নামেন্টেও সেরা হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ এর বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টে শুধু ব্যাট হাতেই নয় বল হাতেও ভেল্কি দেখিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ৩৬২ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ১৫টি উইকেটও।
স্টুয়ার্ট ব্রডকে মারা যুবির ছ’বলে ছ’টা ছয়ের স্মৃতি এখনও তাজা ক্রিকেট প্রেমীদের মনে। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পরে যুবির জীবনে ভয়ানক রোগ ক্যান্সারের আগমণ ঘটেছিল। সেই কঠিন রোগকেও সে পেছনে ফেলে এসে আবার ক্রিকেটের স্রোতে ফিরে এসেছিল এবং পারফরম্যান্স দিয়ে গিয়েছিল। তার এই লড়াকু মনোভাব আজকের তরুন ক্রিকেটারদের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরবে। হয়তো আগামীদিনেও আমরা যুবিকে ভারতীয় ক্রিকেটের পরিত্রাতা হিসাবে দেখতে পাবো। যুবির জন্মদিনে আমাদের রোজদিনের তরফ থেকে জানাই একরাশ শুভেচ্ছা।
Be the first to comment