অমৃতা ঘোষ :- একটানা ৪-৫ দিন মুষলধারে বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের একাধিক জেলায়। কোথাও রাস্তাঘাট জলের নিচে, কোথাও পুকুর নদী ফুলে উঠছে , কোথাও বা বাড়ি ঘরে জল ঢুকে গেছে , রেল লাইনে জল, বিমান বন্দর জলমগ্ন।
আলিপুরদুয়ার এই অবস্থায় জারি করলো লাল সতর্কতা। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান এই চার জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই শনিবারের বৈঠকে এই চার জেলা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
সেই সঙ্গে ডিভিসিকে কড়া বার্তাও জানিয়েছে নবান্ন।
সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে তবেই জল ছাড়তে হবে। ইচ্ছামত জল ছাড়া যাবে না। ডিভিসির চেয়ারম্যানকে বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
দুপুর ২টো থেকে নবান্নে জরুরি বৈঠক করছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকে জরুরি তলব করে উপস্থিত থাকতে বলা হয় ডিভিসির চেয়ারম্যানকে। বৈঠকে উপস্থিত থেকে ডিভিসির চেয়ারম্যানকে এই বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।
আজ সকালেই ডিভিসি জল ছেড়েছে একাধিক জলাধার থেকে। তার জেরে হুগলি, বীরভূম, মেদিনীপুরে একাধিক এলাকা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতি কাম্য ছিল না, জানিয়েছেন মুখ্য সচিব। বার বারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে কেন ডিভিসি জল ছাড়ে? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে বিগত ৪৮ ঘণ্টায় প্রচুর জল ছেড়েছে ডিভিসি। আগামী ৫ ও ৬ তারিখে জোয়ার। সে কারণে হাওড়া, হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হতে পারে। এর ফলে রাজ্য সরকার সকলকেই সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে।
ডিভিসি আরও ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এতে আরও বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Be the first to comment